গত ১৪ ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামাতে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের উপর সিআরপিএফ কনভয়ে আক্রমণ, যার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ঈ-মহম্মদ এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গতকাল ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাত - দুই দেশের সম্পর্ককে আরও একবার যুদ্ধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র সচিব এই জবাবী হামলাকে 'সন্ত্রাস নিরোধক প্রতিষেধক হানা' বলে বর্ণনা করেছেন; অন্যদিকে, পাকিস্তান আচমকা আক্রমণের মাধ্যমে এই হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই সমস্ত ঈঙ্গিত থেকেই ভারত ও পাকিস্তান আরেকটা যুদ্ধের কিনারে পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে কোনও সীমিত সময়ের বা ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধও ভারত, পাকিস্তান সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জনসাধারণের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। আমরা, ভারতের জনগণ আর কোনও পুলওয়ামা বা ভারত-পাক যুদ্ধ কোনোটাই চাই না। তাই আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয় সরকারকেই সংযত হয়ে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে বাড়িয়ে না তুলে বর্ধিত কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও যুদ্ধ প্রতিরোধ করে ভারত-পাক সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দুই দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের প্রতি আবেদন করছি, তাঁরা নিজ নিজ দেশের মিডিয়ায় প্রচারিত প্রতিযোগিতামূলক যুদ্ধ জিগিরকে প্রত্যাখ্যান করুন এবং শান্তির সম্ভাবনা মজবুত করুন।
কেন্দ্রীয় কমিটি
সিপিঅাই(এমএল) লিবারেশন
নয়া দিল্লী, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯