মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসন কালের বিগত ৫ বছরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেগুলো সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের জানার মৌলিক অধিকার রয়েছে — [(সমস্ত তথ্য আরটিআই থেকে প্রাপ্ত)]। মোদীজী ৬০ মাস সময়কালের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ৫৬৫ দিন, অর্থাৎ ১৮ মাস ২৫ দিন (কিছু কম ১৯ মাস) বিদেশে কাটিয়েছেন। এটা পৃথিবীর যে কোনো দেশের, যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে একটা রেকর্ড।
১০১ দিন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করে কাটিয়েছেন। অর্থাৎ ৩ মাস ১১ দিন। কেবলমাত্র নিজের দলের হয়ে সময় কাটিয়েছেন।
১৫ জুন ২০১৪ থেকে, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯২টা দেশ ভ্রমণ করেছেন। এটাও একটা রেকর্ড। বিদেশ ভ্রমণের মোট খরচ ২০১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটা দেশে ভ্রমণের জন্য, ২২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে উনি বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার করেছেন। যদিও রাজনৈতিক কারণে সরকারr বিমান ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়, তবুও উনি করেছেন। বায়ুসেনার বিমান ভাড়া ৩১,০০০ টাকা মাত্র। (১৯৯১ থেকে এই রেট চলছে) একবার ভাবুন, বেসরকারি চার্টার্ড প্লেন হলে কি পরিমাণ খরচ হতো।
১৫ মে ২০১৮ পর্যন্ত, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন বাবদ ৪৩,০৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এটাও দেশের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড।
২০১৪-২০১৫ সালে প্রিন্টিং মিডিয়া : ৪,২৪,৮৫০০০০০ টাকা, ডিজিটাল মিডিয়া : ৪,৪৯,৯৭০০০০০ টাকা, আউটডোর এ্যাড : ৭৯,৭২০০০০০ টাকা।
২০১৫-২০১৬ সালে প্রিন্টিং মিডিয়া : ৫,১০,৬৯০০০০০ টাকা। ডিজিটাল মিডিয়া : ৫,৪১,৯৯০০০০০ টাকা। আউটডোর এ্যাড : ১,১৮,৪৩০০০০০ টাকা।
২০১৬-২০১৭ সালে প্রিন্টিং মিডিয়া : ৪,৬৩,৩৮০০০০০ টাকা। ডিজিটাল মিডিয়া : ৬,১৩,৭৮০০০০০ টাকা। আউটডোর এ্যাড : ১,৮৫,৯৯০০০০০ টাকা।
বিভিন্ন সরকারি চ্যানেলের পাশাপাশি “নমো টিভি” এবং কনটেন্ট টিভি নামক দুটো চ্যানেলের আগমন ঘটেছে। এটাও বিশ্বের ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা। কোনো প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র নিজের প্রচারের জন্য, নিজের নামে একটা টিভি চ্যানেল খুলেছেন, আগে কখনো পৃথিবীতে এইরকম ঘটনা ঘটেনি।
সরকারি চ্যানেল ডিডি নিউজ, কিষান মেট্রো, ডিডি ইন্ডিয়া, ডিডি ন্যাশনাল, ডিডি ভারতী, লোকসভা টিভি, রাজ্যসভা টিভি, এছাড়াও দেশের প্রতিটা প্রান্তে, বিভিন্ন ভাষায়, ডিডি চ্যানেল রয়েছে। যার দ্বারা সরকার অবিরত নিজের আত্ম-গরিমা প্রচার করে চলেছে। এই সমস্ত সরকারি চ্যানেলের বাৎসরিক বাজেট ৪৪.৯০ কোটি, এছাড়া দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও-র জন্য ২,৮২০.৫৬ কোটি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
মোদী সরকার মোট ৬০ মাসে, ১৬১টা যোজনার ঘোষণা করেছেন। সমস্ত যোজনার বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়ে এডভার্টাইজমেন্ট বাজেট অনেক বেশি। কেবলমাত্র ৫০টা যোজনার এ্যাড বাবদ ৯,৭৯৩.২০ টাকা খরচ করা হয়েছে।
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৮ কোটি ডিগ্রিধারী বেকার রয়েছেন। ১৭ লাখ বেকার, পিএইচডি করার পরেও চাকরি পাচ্ছেন না। এটা সরকারি হিসাব, কেবলমাত্র যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের তালিকা।
দেশের ১৫তম লোকসভা নির্বাচনের ৭ দফা ভোট করার খরচ ১ম দফা ৯৫ আসন, ৫০ হাজার কোটি টাকা। ২য় দফা ৯৭ আসন, ৮০ হাজার কোটি টাকা। ৩য় দফা ১১৫ আসন, ৮২ হাজার কোটি টাকা। ৪র্থ দফা ৭১ আসন, ৯০ হাজার কোটি টাকা। ৫ম দফা ৫১ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা। ৬ষ্ঠ দফা ৫৯ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা। ৭ম দফা ৫৯ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা।
মোটামুটি ভাবে দেখা গেছে, নির্বাচন প্রাক্কালে প্রতি সেকেন্ডে, ১ কোটি টাকা খরচ হয়। ৫ বছর ধরে, এক একজন দেশসেবক, আমাদের এই ঋণের ফাঁদে ফেলে, ক্ষমতার মাখন ভক্ষণ করে চলেছেন। যখনই কেউ এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাকে ক্ষমতাধারীরা দেশদ্রোহী-র তকমা দিয়ে থাকেন।
সমস্ত তথ্য আরটিআই থেকে প্রাপ্ত। চ্যালেঞ্জ করে, কোর্টে যেতে পারেন। সমস্ত তথ্য রেডি রয়েছে।
তথ্য সহায়তা
- মানবেন্দ্র জয় (হোয়াটস অ্যাপের পাতা থেকে)