তবু ভরিল না চিত্ত।
বিপুল কর্পোরেট কর ছাড় সত্ত্বে বাজার অর্থনীতির মুখে হাসি নেই। জিডিপির এক শতাংশের ও বেশি, একশো দিনের কাজে মোট বরাদ্দ অঙ্কের দ্বিগুণ কর্পোরেট কর ছাড় দেওয়ার পর দিল্লির নীতিকাররা বলতে শুরু করলেন এবার বুঝি অর্থনীতির মরা গাঙে বান আসবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টে ও এমনই প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে।
কিন্তু, ধন্য আশা কুহকিনী!
অশোক লেল্যান্ড জানালো, তাদের ট্রাক ও হাল্কা বানিজ্যিক গাড়ির বাজার সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমেছে। মারুতি গাড়ির বিক্রি এই সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৪.৪ শতাংশ। মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্রার বাজার এক ধাক্কায় কমলো ২১ শতাংশ। উৎসবের মরশুমেও প্রতিবার বানিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বাড়ে। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটলো।
অর্থমন্ত্রী কর্পোরেট কর এ বিপুল ছাড় ঘোষণা করার পর শেয়ার বাজার হঠাৎ করে চনমনে হলেও, এখন হুহু করে এতটাই নীচের দিকে নামলো, ছ’ মাসের মধ্যে যা কখনও ঘটেনি। মাত্র ছ’দিনে সেন্সেক্স খোয়ালো ৩.৭ শতাংশ, ফলে মুলধনী বাজার থেকে মুছে গেল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৬ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ! আর, পরিহাস এটাই যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য এই ব্যক্তিগত, বেসরকারি পুঁজির উপরই মোদী সরকার পুরোপুরি নির্ভরশীল।
এবার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিছুটা বেসুরো গাইতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। মাত্র দু ‘মাস আগে সে তার এই পূর্বাভাস থেকে সরে এসে আরও নীচে নেমে ৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলে। ৪ ঠা অক্টোবর, শুক্রবার, শীর্ষ ব্যাঙ্ক প্রকাশ করল মুদ্রা পলিসি কমিটির রিপোর্ট (মোনেটারি পলিসি কমিটি রিপোর্ট)। এই রিপোর্টেসে আগেকার পূর্বাভাস থেকে সরে এসে ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলল, যা শীর্ষ ব্যাঙ্কের দিক থেকে আজ পর্যন্ত সর্বনিম্ন। বারংবার পূর্বানুমান থেকে সরে এসে আরও নীচে বৃদ্ধির হারকে বেঁধে দেওয়াটা স্মরণ কালে হয়েছে কিনা জানা নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বছরে পরপর পাঁচ বার ঋণ ছাঁটাই করে এবার রেপো রেট( স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে সুদে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়) ২৫ বেসিস পয়েন্ট অর্থাৎ ০.২৫ শতাংশ বিন্দুতে (৫.১৫ শতাংশে) নামিয়ে আনে । কিন্তু, এই নতুন ঋণনীতি ঘোষণার পরই মুম্বাই শেয়ার বাজারের সূচক ৪৩৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। শীর্ষ ব্যাঙ্ক তার রিপোর্টে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, “আগামী দিনগুলোতে ভারতীয় অর্থনীতির সামনে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। “ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার জানালো, দুনিয়াব্যাপী মন্দার প্রভাব অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতের উপর সবচেয়ে প্রকটভাবে পড়েছে। এখান থেকেই বোঝা যায়, ভারতীয় অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে খাবি খাচ্ছে গভীর সংকটের আবর্তে, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার আশু কোনো রাস্তা মিলছে না।
এই কর্পোরেট কর ছাড়ের মাশুল যে ইতিমধ্যেই রক্তক্ষরিত ভারতীয় অর্থনীতিকে অনেকটাই দিতে হবে, বিরাট রাজকোষ ঘাটতি সামাল দিয়ে কীভাবেই বা চলবে উন্নয়নমূলক কাজ, তা নিয়ে নানান মতামত উঠে আসছে। এই সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি সংগ্রহের যে পরিমাণটা সরকার ঘোষণা করল তা ৯১,৯১৬ কোটি টাকা – বিগত ন’মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। ভারতীয় অর্থনীতিতে যে পরিষেবা ক্ষেত্রটি র সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য রয়েছে, গত ১৯ মাসের মধ্যে তা নেমে গেছে সবচেয়ে নীচে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের উল্লিখিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ব্যবসার পরিবেশ এতই খারাপ হয় যে, ২০০৮ এর বিশ্বব্যাপী মন্দার পর আগে তা কখনো আসেনি। উপভোক্তাদের আশা ভরসা ও এই সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এতটা নীচে নেমে গেছে যা গত ছ’বছরে আগেও ছিল না। রিপোর্ট বলছে, উপভোক্তারা আস্থা ভরসা হারিয়েছে কর্মহীনতার পরিবেশ, ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়া আয় ও খরচে বেড়ে চলা বৈষম্য দেখে। রিপোর্ট এটাও বলেছে, দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা ও কর্মহীনতার পরিমন্ডল নাগরিকদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, আর সামনের দিনে তাঁদের আয় যে বাড়বে এ ব্যাপারে তারা আশাবাদী নন। ২০১৮-১৯-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে শিল্পীয় উৎপাদনে যে শ্লথ গতি এসেছিল, ২০১৯-২০ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে তা আরও গভীরতা পেয়েছে।
ইতিমধ্যে, পঞ্জাব মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ককে কেন্দ্র করে যে বিরাট কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এলো, তা ক্রেতাদের আস্থা ভরসায় রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছে। একেই তো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো অনাদায়ী ঋণের বোঝায় জেরবার। বিরাট পরিমাণে পুঁজি ঢেলে, বেশ কিছু ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ও নতুন করে বিশ্বাস জাগাতে পারলো না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তাই রীতিমতো ট্যুইট করে ব্যাঙ্কের কাছে বলতে হয়েছে যে, “সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাঙ্কগুলোর এই বার্তা নিয়ে যাওয়া উচিত যে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিরাপদ ও শক্তিশালী।” সাধারণ মানুষের টাকা ব্যাঙ্কে নিরাপদে গচ্ছিত আছে, এই আশ্বাস শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে দেওয়াটা মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, নোট বাতিলের সময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ্ অমর্ত্য সেন কেন্দ্র সরকারকে অনেকটা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ভরসা ভেঙ্গে গেলে গোটা অর্থনীতিই তছনছ হয়ে যাবে।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোদী বা অমিত শাহ তেমন কোনো মন্তব্য করেননি। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই নিয়ে অহেতুক চিন্তার কিছু নেই। পেঁয়াজের পর এবার টমেটোর দাম ৮০ টাকা পেরিয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কাশ্মীরের ৩৭০ বাতিল ও বালাকোটের ইস্যুকে সামনে এনে জাতীয় নিরাপত্তার উপরই সবার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। আর, যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাটাই বিজেপি ও সংঘ পরিবারের কৌশল, যাতে তা দেশের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা না হতে পারে। সংঘ পরিবারের প্রধানকেও এবার দেশের অর্থনীতি নিয়ে মুখ খুলতে হলো। ‘মহাপন্ডিত’ এই নেতা বললেন, আর্থিক বৃদ্ধি শূন্য না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না যে আর্থিক মন্দা এসেছে। একদিকে তিনি লিঞ্চিংকে বিদেশী পরিঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করে বললেন যে ভারতের মাথা হেঁট করতেই ওই সব বিদেশী প্রতিশব্দ কে আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিদেশের সাথে দেশীয় অর্থনীতির নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন, আরও বেশি বেসরকারিকরণের পক্ষে নির্লজ্জ ওকালতি করলেন এক নিশ্বাসে। এখানেই থেমে থাকলেন না। তিনি আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে বর্তমান নেমে আসা মন্দাকেই এদেশে আর্থিক মন্থরতার কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করলেন। এমনকি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও তার সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে অনেক চতুরতার সাথে আভ্যন্তরীণ আর্থিক সংকটের পেছনে ওই বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্থরতাকে উল্লেখ করেছে।
এই সমস্ত যুক্তির পেছনে যে কোন সারবত্তা নেই তা বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ্ দেখিয়েছেন। মোদীর আমলে ভারতের আর্থিক বিকাশ বিস্ময়কর গতিতে এগিয়ে যাওয়ার যে গালগপ্পো শোনানো হয়েছিল তাকে পুরোপুরি মিথ্যা প্রমাণ করে এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক) কিছুদিন আগে ঘোষণা করল, ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন তরতর করে এগিয়ে গেছে। এডিবির মতে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বিকাশ লাভ করছে। আগে, বাংলাদেশের জন্য এডিবি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৮.০ শতাংশ। এখন সেটা বাড়িয়ে করেছে ৮.১ শতাংশ। ভিয়েতনামের আর্থিক গতি ও ভারতকে টেক্কা দিয়েছে। বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দা বাস্তব হলেও এই সমস্ত দেশগুলো কিভাবে তার মধ্যেও নিজের নিজের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে তার উত্তর কিন্তু মোহন ভগবত বা শীর্ষ ব্যাঙ্ক দিচ্ছে না। আইএমএফ ও গত জুলাই মাসে তার সাম্প্রতিকতম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে অন্যান্য এগিয়ে থাকা অর্থনীতি বা এশিয়ার বিকাশমান অর্থনীতির সাপেক্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে কম করেছে। এটাই প্রমাণ করে, সমস্যার উৎস আন্তর্জাতিক নয়, আভ্যন্তরীণ। এ ব্যাপারে এখন ক্রমেই একটা ঐক্যমত্য গড়ে উঠছে যে, মানুষের হাতে খরচ করার মতো যথেষ্ট টাকা নেই, অত্যন্ত দুর্বল ক্রয় ক্ষমতার জন্য এ সংকট ঘনিয়ে উঠেছে, যা জাতীয় আয়ের ৬০ শতাংশ। তাই, বর্তমানের এই সংকটকে স্বীকৃতি দিলেও (তা যে মাত্রাতেই হোক না কেন) সংকটের প্রকৃত কারণ এখনও রাষ্ট্রীয় নীতিকারেরা সততার সঙ্গে মেনে নিতে পারছেন না।
২০১৫ সালে, আইএমএফ-এর বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ্ গোটা বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্দ্ধমান বেড়ে চলা অসাম্যের কারণ খতিয়ে দেখে একটা প্রামান্য গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, শিরোনাম – কজেস অ্যান্ড কন্সিকুয়েন্স অফ ইনকাম ইনইক্যুউল্যাটিঃ আ গ্লোবাল পারস্পেক্টিভ। সেখানে তাঁরা গোটা দুনিয়ার রাষ্ট্রীয় নীতিকারদের কাছে সুপারিশ করেছেন, গরিব ও মধ্যবিত্তদের প্রতি যেন নজর বাড়ানো হয়। তাঁদের আয় বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে, সমাজের উপর তলার মানুষের (২০ শতাংশের) আয় বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। তাঁরা দেখিয়েছেন, সমাজের উপর তলার ২০ শতাংশ মানুষের আয় এক শতাংশ বিন্দু বৃদ্ধি হলে পরের পাঁচ বছরের জন্য ওই দেশের জিডিপি কমবে ০.০৮ শতাংশ বিন্দু। যা প্রমাণ করে, সমৃদ্ধি নীচের দিকে চুইয়ে পড়ে না। বদলে, সমাজের নীচু তলার ২০ শতাংশ (গরিব) মানুষের আয় এক শতাংশ বিন্দু বাড়লে পরের পাঁচ বছরের জন্য ওই দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ০.৩৮ শতাংশ বিন্দু। দেশে দেশে বাতিল হয়ে যাওয়া মান্ধাতার আমলের ওই ট্রিকল ডাউন বা চুইয়ে পড়ার তত্ত্বকে আজও আঁকড়ে ধরে রয়েছে আমাদের দেশের নীতিকাররা। ঠিক যেমন, বিদেশের বাতিল হয়ে যাওয়া সেকেলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা নিজেদের অত্যাধুনিক মনে করে থাকি।
ভারতের যে ইনফর্মাল অর্থনীতি জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রে ৪৫-৫০ শতাংশ অবদান রাখে, নোট বাতিলের সর্বনাশা পদক্ষেপ সমগ্র সেই অর্থনীতিকেই তছনছ করে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের কেড়ে নিল রুটি রুজি। আর, গোটা ইনফর্মাল ক্ষেত্রকে তড়িঘড়ি ফর্মাল করতে গিয়ে জিএসটি হয়ে দাঁড়াল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। তার ক্ষয়কারক প্রভাব আরও ত্বরান্বিত করেছে বর্তমান আর্থিক সংকটকে। অর্থনীতিবিদ জ্যাঁ দ্রেজ তো নোট বাতিলকে ব্যাখ্যা করেছেন, ছুটন্ত একটা গাড়ির টাায়রে গুলি চালানোর মতো ঘটনা হিসাবে। আর, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটক জিএসটি-কে আখ্যা দিয়েছেন অজ্ঞান না করে অপারেশন করার সিদ্ধান্তের মতো। দেশীয় অর্থনীতির এই ক্ষমাহীন ধ্বংসসাধন করে যিনি সবচেয়ে বড় দেশবিরোধী কাজটি করলেন তিনি এখন বিচাকের আসনে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কে বা কারা দেশদ্রোহী। তাঁরাই আবার কাশ্মীরের আর্থিক বৃদ্ধি-বিকাশের জন্য নাকি রদ করেছেন ৩৭০ ধারা।
কোনো সাময়িক টোটকা দিয়ে নয়, ভারতীয় অর্থনীতির এই কাঠামোগত সংকটকে বদলাতে দরকার প্যারাডাইম শিফ্ট বা গতিমুখ বদল। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থানের দিশায় পলিসি পরিবর্তন, ঢালাও রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রভৃতি। কর্পোরেট কর ছাড়ের মতো পদক্ষেপ কখনোই এই গভীর মন্দার থেকে নিষ্ক্রমণের পথ বাতলাবে না। তাই, আর্থিক নীতির গতিমুখ বদলের জন্য দরকার বড় ধরনের এক রাজনৈতিক সংগ্রাম। যা একমাত্র সরকারকে সে পথে হাঁটতে বাধ্য করবে।