১৯৫১ সালের ৩১ অগাষ্ট ট্রাম-বাস ভাড়া বৃদ্ধি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে শহীদ হন সন্ন্যাসী সর্দার। ৩১ অগাষ্ট যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন সন্ধ্যা বাজার মোড়ে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন।ওই স্থানে শহীদের স্মরণে একটি শহীদ বেদী নির্মিত হলেও তা দীর্ঘদিন ভগ্ন দশায় পরে ছিল। ‘‘শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি”-র পক্ষ থেকে সেই শহীদ বেদী সংস্কার করে ৩১ অগাষ্ট শহীদ দিবস পালন শুরু হয় বিগত বছর থেকে।
আজ আমাদের রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা ও ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতি। মানুষের প্রতিটা গণতান্ত্রিক অধিকার আজ বিপন্ন। তাই এই সময় শহীদ সন্ন্যাসী সর্দার সহ বিভিন্ন গণ-আন্দোলনের শহীদদের লড়াই-এর উত্তরাধীকার-কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। “সন্ন্যাসী সর্দার-দের উত্তরাধীকার ও আজকের লড়াই” — শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হল যাদবপুরের সন্ধ্যাবাজার মোড়ে। শহীদ সন্ন্যাসী সর্দার সহ গণ আন্দোলনের সমস্ত শহীদ-দের স্মরণে শহীদবেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাল্যদান করেন, সিপিআই(এমএল)-এর রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, সিপিআই-এর পক্ষে ৯২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব, সিপিআই(এম)-এর পক্ষে রাজ্য কমিটি সদস্য সঞ্জয় পুততুন্ডু, আরএসপি-র পক্ষে রাজ্য কমিটি সদস্য দেবাশিষ মুখার্জী, শহীদ স্মরণ কমিটি-র পক্ষে রঞ্জিত বসু, সন্ন্যাসী সর্দারের পরিবারের সদস্য নিমাই সর্দার সহ আরও অন্যান্য বাম কর্মী ও নেতৃবৃন্দ।
সন্ন্যাসী সর্দারদের উত্তরাধীকার ও আজকের লড়াই শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত বামপন্থী দলগুলির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পার্থ ঘোষ বলেন, এই সময়ে মানুষের ন্যুনতম অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সংবিধান-কে অগ্রাহ্য করে কাশ্মীর সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আনন্দ হাইত, নুরুল ইসলাম সহ সন্ন্যাসী সর্দাররা আমাদের যে লড়াই-এর পথ দেখিয়েছেন সে পথেই এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের অতীতের সব ভুলকে খোলা মনে স্বীকার করে বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এছাড়াও আলোচনা সভায় সিপিআই-এর মধুছন্দা দেব, আরএসপি-র দেবাশিষ মুখার্জী, সিপিআই (এম)-এর সঞ্জয় পুততুন্ডু ও বাবু গুপ্ত বক্তব্য রাখেন।