আন্দোলনের চাপে পড়ে জনতাকে ধোঁকা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। কিন্তু বাস্তবে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে আটক আছে বহু মানুষ, অতি সম্প্রতি সেখানে নতুন করে অকাল মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে এবং এই বন্দীশিবিরগুলোতে অনাহার মৃত্যুর নতুন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কারণ আটক ব্যক্তিদের একাংশের খাদ্য বরাদ্দই বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশের আইন আনুযায়ী কোনও অজুহাতেই কোনও ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকাল আটক রাখা চলে না। তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে আটক ব্যক্তিরা কত দিন আটক থাকবে? এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এক মামলায় রায় আসে যে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে তিন বছরের বেশি কাউকে আটক রাখা যাবে না। আসামে এনআরসি সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলায় অমানবিক বিভিন্ন রায় ও মন্তব্য দিয়ে যিনি কুখ্যাত হয়ে উঠেছেন সেই রঞ্জন গগৈ এই রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ে তিন বছরের বেশি আটক রাখা যাবেনা বলার সাথে সাথে কঠিন কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিন বছর পর ছাড়া পেতে হলে আটক ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা পার্সোনাল বন্ড হিসেবে জমা দিতে হবে। বলা বাহুল্য অনেকেই এই টাকা জমা দিতে পারে না কারণ ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক ব্যক্তিরা সকলেই হতদরিদ্র সর্বশান্ত মানুষ। ফলত তিন বছরের বেশি আটক থাকার পরও ছাড়া পাচ্ছে না অথচ সরকারি গুনতিতে হিসেবেও আসছে না এরকম বহু মানুষ ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে। এই মানুষগুলির বরাদ্দ খাদ্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যে জেলগুলির ভেতরে বর্তমান ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি আছে সেখানকার জেলাররা জানাচ্ছেন যে বাকিদের বরাদ্দ খাদ্য থেকেই এতদিন চালাচ্ছিলেন তাঁরা কিন্তু তা আর বেশি দিন সম্ভব নয়।