বিবৃতি
ব্যাঙ্ক ধর্মঘট

সারা দেশের দশ লক্ষ ব্যাঙ্ক কর্মচারি এ দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের সংগে যে সমস্ত ইন্ডিপেন্ডেন্ট কর্মচারি  সংগঠন ধর্মঘটের আহবান রেখেছে, ব্যাঙ্ক কর্মচারিদের ইউনিয়ন এআইবিইএ এবং বেফি তাদের মধ্যে অন্যতম। অফিসারদের সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষ আহবায়ক না হলেও তারা ধর্মঘটে সহযোগিতা  করেছেন। রাজ্যে পাহাড় থেকে সাগর সর্বত্র ব্যাঙ্ক ব্যবসা বন্ধ ছিল। পশ্চিমবঙ্গে সব সময়ই শাটার ডাউন স্ট্রাইক হয়। এবারে ধর্মঘটে এটিএম সিকিউরিটি গার্ডরাও অংশ নিয়েছে যার ফলে এটিএম-গুলিও বন্ধ থেকেছে। এখন ব্যাঙ্ককের প্রায় সমস্ত স্থায়ী কাজ সমান্তরালভাবে ব্যাঙ্ক মিত্র নামের ঠিকা কর্মচারিদের দিয়ে করানো হচ্ছে। এরা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করেন। রাজ্য জুরে ছড়িয়ে থাকা ব্যাঙ্ক মিত্ররা ব্যাঙ্ক শাখার দরজা না খুললেও পরিষেবা  চালিয়ে যেতে পারে। ধর্মঘটে ব্যাংক মিত্রদের অংশ গ্রহণ রাজ্য জুড়ে ব্যাঙ্কের কাজ কর্ম সম্পুর্ণভাবেই অচল হোয়ে যায়। এদিনের ধর্মঘটে কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্মচারিদের অংশগ্রহন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান ফটক এদিন বন্ধ থাকে। ভারত সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কসমুহের সংযুক্তিকরণ নীতি দেশের স্বার্থ বিরোধী বটেই কর্মচারিদের জন্যও ভয়ংকর বিপদ। ভারত সরকার অতি সম্প্রতি দশটি সরকারি ব্যাঙ্ক একত্রে চারটি ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করেছে যার ফলে বহু শাখা বন্ধ হবে এবং উদ্বৃত্ত কর্মচারিদের বাড়ি পাঠানো হবেই। আমাদের রাজ্যে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে কর্মচারিদের অংশ গ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত তাদের সবার একদিনের বেতন কাটা যাবে। সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের রিজিওনাল অফিসের সামনে পিকেট করতে গিয়ে বর্ধমানে ছয়জন ব্যাঙ্ক কর্মচারি গ্রেফতার হন।

- নির্মল ঘোষ

খণ্ড-27
সংখ্যা-2