১৮ আগস্ট সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থঘোষ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, সমকাজে সম বেতন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পার্শ্বশিক্ষকদের সহকারী শিক্ষকপদে নিযুক্ত করার দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে ১৭ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। চরম ঔদ্ধত্যের সাথে শিক্ষামন্ত্রী স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করেন। বৈঠকে বসে আলোচনা করা তো দূরের কথা। পার্শ্বশিক্ষকরা এর প্রতিবাদে কলকাতা মহানগরীর রাজপথে এবং কল্যাণী স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে উভয় জায়গায় পুলিশ হামলা চালায়। ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে কল্যাণী স্টেশনে। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এরপর আলো নিভিয়ে পুলিশ বর্বরভাবে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। শিশুকোলে শিক্ষিকারাও এই বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি শিক্ষিকারা পুলিশের অশ্লীলতার শিকার হন। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী “দিদিকে বলো”র নাটক করছেন, আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁরই পুলিশবাহিনী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জ করছে, অশ্লীল অশোভন আচরণ করছে। এসব যখন চলছে, তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সিবিআই দপ্তরে সারদা-নারদা দুর্নীতিতে সাক্ষ্য দিতে ব্যস্ত।
বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হলেই এসব হতে পারে। শাসক এভাবেই নিজেকে উদ্ঘাটিত করে। সিপিআই(এমএল) তীব্র ভাষায় পুলিশী বর্বরতার নিন্দা করছে এবং পুলিশের এই আচরণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের পার্টি সক্রিয় ভাবে পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।