কানায় কানায় পূর্ণ মৌলালী যুব কেন্দ্রের সভাঘরে ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সন্তোষ রাণার স্মরণ সভা। আয়োজক ‘’শ্রমজীবী ভাষা’’ পত্রিকা। বামপন্থী আন্দোলন, বিশেষ করে নকশালবাড়ি আন্দোলনের বহু কর্মী – সমর্থক এসেছিলেন প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে। ভাবগম্ভীর পরিবেশে, যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করেই সম্পন্ন হয় ওই স্মরণ সভা।
প্রথমে, সন্তোষ রাণার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং তারপর মেঘনাদ দাশগুপ্তর মরমী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা মালা দেন। সিপিআই(এমএল)-র পক্ষ থেকে মাল্যদান করেন রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ ও কার্তিক পাল।
সিপিআই(এম) নেতা ও বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিমান বসু, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, পার্থঘোষ, রেড স্টার সিপিআই(এমএল) নেতা প্রদীপ সিং ঠাকুর, সেই সময়ে সন্তোষ রাণার ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা প্রদীপ ব্যানার্জী সহ সিপিআই(এমএল)-এর অন্য ধারার নেতারাও বক্তব্য রাখেন। স্বাভাবিকভাবেই, কাশ্মীরের ঘটনাটা সামনে আসে এবং দেশজুড়ে মোদীর ফ্যাসিবাদী হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাম প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পায়। বামপন্থীরাই গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, আর তাই, দেশের এই গভীর সংকটে বিভিন্ন মতপার্থক্যগুলোকে পেছনে রেখে বামেদের এগিয়ে আসার প্রশ্নে সমস্ত বক্তারাই জোর দেন।
রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বারবার সন্তোষ রাণার স্বভাবজাত বিনয় থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরে গণভোটের প্রশ্নেটিকে বাম ঐক্যের ভিত্তি না করে এই মুহূর্তে কাশ্মীরী জনগণের সমস্ত ধরনের অধিকার হরণের বিরুদ্ধেই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। সেখানকার মানুষ স্বাভাবিক নাগরিক জীবনযাপন করতে পারছে না। তাই, বামপন্থীদের এই মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার তরফ থেকেও প্রতিনিধিরা এই স্মরণ সভায় অংশ নেন। বৃহত্তর বাম ঐক্যের শপথ নিয়ে শেষ হয় স্মরণসভা।