যতটা সম্ভব আমি “আজকের দেশব্রতী” খুঁটিয়ে পড়ি। ‘মাতৃভাষা ভিন্ন অন্যভাষা জানা নেই’ তাই পার্টির বাংলা লেখাগুলিই পড়ি এবং সমৃদ্ধ হই, অনুপ্রাণিত হই। ৯ মে ২০১৯ সংখ্যায় প্রকাশিত জয়ন্তী দাশগুপ্তের লেখা ‘অথ সাধ্বী উবাচ’ প্রতিবেদনের শেষের দিকে বলা হয়েছে, “এবার শুধু দুজনের কথা বলে শেষ করব। ... গত বছর ৩০ মার্চ আসানসোলের নুরি মসজিদের ইমাম মওলানা ইমদাদুল্লাহ্ রশিদি যখন তাঁর ষোলো বছরের সন্তানের নিস্পাপ কিশোর দেহটা কিছু ধর্মান্ধ জহ্লাদদের হাতে টুকরো টুকরো হওয়ার খবর পেলেন, বুকে পাষাণ চাপা দিয়ে, ক্রোধ ঘৃণায় ফুটতে থাকা প্রতিশোধলিপ্সু জনতাকে খুব শান্তভাবে একটি কথাই বলেছিলেন, অন্য ধর্মের একটি মানুষেরও যদি কোনো ক্ষতি হয়, তিনি আসানসোল ছেড়ে চলে যাবেন। স্তব্ধবাক জনতা সেদিন মাথা নীচু করেছিল ঐ মানুষটির কাছে, অভিভূত বিস্ময়ে, শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।” আমিও ঐ মানুষটিকে জানাই আমার অফুরান বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এইরকম মানুষের জন্যই সমাজটা টিকে আছে, টিকে থাকবে। ... স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে, তবে বলি, সত্তরের দশকে আসানসোলে সিপিআই(এমএল) নেতা ব্রিজবিহারী পান্ডের নেতৃত্বে আমি আন্ডারগ্রাউন্ডে ইটভাটায় ইট বয়েছি, আসানসোলে সেইসময় নির্মীয়মান হাসপাতালের নির্মাণ কর্মী ছিলাম। এই সুবাদে সাথী ব্রিজবিহারী পান্ডেকে জানাই আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অভিনন্দন।
আরেকটি বিষয়ে বলার। লেনিনের মূর্তি যারা ভেঙ্গেছে, তারা ফ্যাসিস্ত, প্রতিক্রিয়াশীল। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যারা ভেঙ্গেছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।
- মিহির সেন, জলপাইগুড়ি