শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ

অমিত শাহ-র রোড শো-কে কেন্দ্র করে কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজ সহ সন্নিহিত অঞ্চলে বিজেপির কর্মীবাহিনী যে তাণ্ডব চালায় এবং কলেজের ভেতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং অনেতিকভাবে শেষ দফা নির্বাচনের আগে ৩২৪ ধারা জারি করার বিরোধিতায় রাজ্যের সমস্ত জায়গার সাথে সাথে দার্জিলিং জেলা কমিটির উদ্যোগে শিলিগুড়িতেও এক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হয়। শিলিগুড়ি হাকিমপাড়া চিলড্রেন পার্কের বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে থেকে মিছিল করে হাসমিচকে শেষ হয়। পোড়ানো হয় অমিত শাহের কুশপুতুল। দাবি করা হয় ঘটনায় জড়িত সকল বিজেপি কর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। মিছিলে ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য কমরেড পুলক গাঙ্গুলী, অপু চতুর্বেদী, মীরা চতুর্বেদী, মোজাম্মেল হক, তৃষা চ্যাটার্জী, রুবী সেনগুপ্ত, গঙ্গা রায়, শরত সিংহ, পৈসাঞ্জু সিংহ, মামণি বর্মণ, গৌতম চক্রবর্তী, শাশ্বতী সেনগুপ্ত, অদু চতুর্বেদী, ময়নাদি প্রমুখ।

বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার প্রতিবাদে ১৭ মে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার চিলড্রেন পার্কে বিদ্যাসাগরের মূর্তির পাদদেশে শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠন সৃজনের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি সভাতে গান, কবিতা, বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শহরের শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরা গেরুয়াবাহিনীর ফ্যাসিস্ট আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হন। প্রত্যেকেই তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করে বলেন এই পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে পশ্চিমবাংলার মানুষ পরিচিত নন – বরাবরই বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিকের একটা বড় অংশ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে এসেছেন, এবারও তার অন্যথা হবে না। যে কোনো মূল্যে মানুষ এই গেরুয়া সন্ত্রাসকে রুখবেই – এটাই সময়ের দাবি। মীরা চতুর্বেদী, গৌতম চক্রবর্তী, রণজিত মুখার্জী, শৌভিক আদিত্যদের গানে বারংবার সেই প্রতিবাদ, প্রতিরোধের বিশ্বাসই শোনা গেছে। বক্তব্য রাখেন সৃজনের সভাপতি অধ্যাপক অজিত রায়, পার্থ চৌধুরী, অনন্য মুখার্জী প্রমুখ।

খণ্ড-26