১৭ জুন নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের সিতাচন্দ্রপুর গ্রামে সারা ভারত কিষান সভার কর্মী এবং সিপিআই(এমএল) সদস্য কমরেড হাফিজউদ্দিন মল্লিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
ডাক্তার ধর্মঘট শেষ হওয়ার ঠিক আগের দিন জ্বর ও বমি হয়, তখন তাকে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে গিয়ে বুকের ব্যথা অনুভব করেন, পেটে ব্যাথা-মাজায় ব্যথা, এমতো অবস্থায় হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক তিনটি বিষয় তিনটি ইনজেকশন দেন তারপর রোগী অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যুগপুর যেতে না যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
৯০ দশকের শুরুর সময় থেকে এই গ্রামে পার্টির সংযোগ। খাস জমি উদ্ধার ও দখল, দেবোত্তর সম্পত্তিতে কৃষকের স্থায়ী অধিকার, সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে, পুলিশ কর্তৃক থানার মধ্যে নারী ধর্ষণ, অত্যাচার ও দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলির সামনের সারিতে ছিলেন। রেশন কার্ড না পাওয়া, রেশন না পাওয়া,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর না পাওয়া ইত্যাদি নিয়ে ভোটের আগেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, কথা ছিল ভোটের পরে বাকিটা হবে। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সীতাচন্দ্রপুর বুথে ভোটের প্রচার, বুথে এজেন্ট, কৃষকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদি ভূমিকা নিয়েছিলেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে হাফিজউদ্দিন ছিলেন একজন সৎ নিষ্ঠাবান গরীব কৃষক কমরেড। এইরকম একজন অগ্রনি গ্রামীণ কৃষক সংগঠককে হারানোটা পার্টির কাছে ক্ষতি।
মৃত্যুর খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে কমরেড কৃষ্ণ প্রামানিক, শিব শংকর রায় সহ অন্যান্য কমরেডরা গ্রামে যান, গ্রামের লোকের সাথে যুক্ত থেকে কবরে মাটি দেন। পরিবারে দুই ছেলে, বিবাহিত দুই কন্যা ও স্ত্রী আছেন।
১৮ জুন, দেবগ্রামে ব্লক কর্মীসভায় কমরেড এর উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়। গ্রামে কমরেড এর স্মরণে একটি স্মরণসভা করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।