মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই(এমএল) কর্মীদের উদ্যোগ

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলা করে গ্রামে ভোট করতে সমর্থ হলেও বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এবং ভোট গোনার সময় সন্ত্রাস মোকাবিলা করে জয় লাভ সম্ভব হয়নি। জোর করে হারানো হয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে যেহেতু জঙ্গীপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এমএল)-এর প্রার্থী ছিল না এবং সিপিএম প্রথমে এই কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে বলেছিল, তাই প্রথমে সিপিআই(এমএল) কর্মীদের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা ছিল। কিন্তু সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করার পর সিপিআই(এমএল) কর্মীরা উদ্যোগ নিতে শুরু করে। ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম গুলোতে যৌথভাবে ও স্বাধীন উদ্যোগে প্রচার শুরু করে। সিপিআই(এমএল)-এর শক্তিশালী সংগঠনের গ্রামগুলোতে জোর দেওয়া হয়। গ্রামে গ্রামে বৈঠক মিছিল সংগঠিত করা হয় হয়। নিজেদের শক্তিশালী গ্রামে নিজেদের উদ্যোগে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয় সেই চেষ্টা করা হয়। এলাকায় সিপিএমের নিষ্ক্রিয়তা সিপিআই(এমএল) কর্মীদের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে কাটিয়ে উঠতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ভোটের দিন ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের মোকাবিলা করে সক্রিয় থাকা সম্ভব হয়। ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি বুথে সিপিআই(এমএল)-এর পক্ষ থেকে এজেন্ট দেওয়া হয়। এবং ক্যাম্প করা হয়। বাকি ৭টি বুথে সিপিএম এজেন্ট দিয়েছে। সিপিআই(এমএল) কর্মীরা আশা করছে ২টা বুথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে।

খণ্ড-26