১) সকলের জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সহজ ও কমখরচে শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
২) সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা বন্ধ কর; সর্বোচ্চ পরিকাঠামোযুক্ত ১০০টি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় বাজেটের ন্যূনতম ১০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করতে হবে।
৩) ফেলোশিপকে শিক্ষার্থীদের অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সকলের জন্য যথাযথ ফেলোশিপ নিশ্চিত করতে হবে।
৪) বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে লিঙ্গ বৈষম্যজনিত নিয়মগুলি ধ্বংস কর এবং সমস্ত ক্যাম্পাস ও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গগত ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে কার্যকরি যৌন হিংসা বিরোধী সেল গঠন করতে হবে।
৫) বিগত তিন বছরে দেশজুড়ে ২৬,০০০ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। যার দায় সরকারকে নিতে হবে। এর অন্যতম কারণ হল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাঁদ, ব্যয়ভার বৃদ্ধি, অধিক সুদে শিক্ষাঋণ এবং অন্যদিকে কর্মসংস্থান ধ্বংস হওয়া। এর জন্য সঠিক নীতি নির্ধারণ কর ও শিক্ষাঋণ মকুব কর।
৬) ছাত্রদের নিশানা করা বন্ধ কর সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর
৭) সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্র- সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
৮) প্রাতিষ্ঠানিক ভেদাভেদ বন্ধ করো, রোহিত আইন চালু কর
৯) সমস্ত ভর্তি এবং নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দূর্নীতির রাজত্ব ধ্বংস কর
১০) সম্মানজনক জীবিকার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে। ন্যূনতম বেতনের দাবির ভিত্তিতে ১৮,০০০ টাকা মাসিক বেকারভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
১১) সংরক্ষণকে প্রভাবহীন করা বন্ধ করো এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিতদের জন্য বেসরকারিক্ষেত্রেও সংরক্ষণ লাগু কর
১২) বেসরকারিক্ষেত্রে কর্মচারীদের ব্যাপক পরিমাণে উৎপীড়ন এবং ছাঁটাইয়ের জবাবদিহি প্রাইভেট সেক্টরকে করতে হবে এবং দায় নিতে হবে।
১৩) ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের আগে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে এবং ঠিকাপ্রথা শেষ করে স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশজুড়ে ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির এই ’ইয়ং ইন্ডিয়া দাবিসনদ’ - এবার জুমলা আর হামলার বিরুদ্ধে দেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার ঘোষণা। আসুন, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে এই দাবিগুলির পা দাঁড়ান এবং ৭ফেব্রুয়ারি লালকেল্লা থেকে পার্লামেন্ট স্ট্রিট ইয়ং ইন্ডিয়া অধিকার সমাবেশে সামিল হোন।