চলে গেলেন পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় তিনি ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক। দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন নৈহাটির ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজে। তবে তার লেখালেখি মূলত বাংলা আখ্যানের জগৎ নিয়েই। বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের আখ্যান নিয়ে তিনি লিখেছেন দুটি স্বতন্ত্র ভাবনার বই – ‘উপন্যাসের সমাজতত্ব’, ‘উপন্যাস রাজনৈতিক’। বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য বিশিষ্ট আখ্যানকারদের নিয়ে লেখা তাঁর বইগুলির মধ্যে আছে ‘উপন্যাস রাজনৈতিক : তারাশঙ্কর’, ‘উপন্যাস রাজনৈতিক : বিভূতিভূষণ’, ‘জীবনানন্দ : উপন্যাসের ভিন্ন স্বর’, ‘সমরেশ বসু : সময়ের চিহ্ন’ প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে সতীনাথ ভাদুড়ীর দুটি কালজয়ী সৃষ্টির নিবিড় পাঠ - প্রসঙ্গ জাগরী এবং প্রসঙ্গ ঢোঁড়াই চরিত মানস। এই বইগুলি বিশিষ্ট চিন্তার জোরে নেহাৎ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীদের সহায়ক গ্রন্থ হয়ে থাকে নি, বাংলা উপন্যাসের নান্দনিক আলোচনা ও তাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানাবোঝার অন্যতম আকরে পরিণত হয়েছে। অগ্রজ সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে সম্পাদিত ‘বিষ্ণু দে : কালে কালোত্তরে’ বইটি বাংলার এই বিশিষ্ট মার্কসবাদী কবিকে নিয়ে চর্চায় এক অপরিহার্য আকর।
পার্থপ্রতিমবাবুর বইগুলি পরপর পড়লে বোঝা যায় আখ্যান সাহিত্যকে দেশকালের রাজনীতির সাথে মিশিয়ে পড়তে, আখ্যানের সমাজতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে তুলে আনতেই তাঁর কলম ধরা। উপন্যাসের রাজনীতিকে সাধারণ প্রচলিত দৃষ্টির বাইরে নিয়ে এসে বুঝতে চান পার্থপ্রতিম। বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক ঘটনা কেন্দ্রিক আখ্যানই তাঁর মতে উপন্যাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতকে বোঝার একমাত্র দিক নয়, এমনকী প্রধান দিকও নয়। সেটা নেহাৎ বাইরের দিক। রাষ্ট্র রাজনীতির দিক থেকে লেখা রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে, চার অধ্যায় বা শরৎচন্দ্রের পথের দাবিই কেবল উপন্যাসের রাজনৈতিক পাঠের ব্যাপার নয়। জনসমাজের দিক থেকে উপন্যাসের রাজনীতিকে বোঝা দরকার। সেই নিরিখে রবীন্দ্রনাথের গোরা বা শরৎচন্দ্রের দেনাপাওনার মধ্যে জনসমাজকে বোঝার রাজনৈতিক উপাদান বেশি।
১৯৯১ সালে প্রথম বেরোয় পার্থপ্রতিম বাবুর ‘উপন্যাস রাজনৈতিক’ নামের বইটি। পার্থপ্রতিম প্রথমেই জানিয়ে দেন “উপন্যাস রচনা ও উপন্যাস পাঠ, দায়বদ্ধ কর্ম। ঔপন্যাসিক উপন্যাসের মাধ্যমে তাঁর সময় ও ইতিহাস, নিজ অভিজ্ঞতা ও জীবনের মধ্যের দ্বান্দ্বিক সম্পর্কটিকে একটি টেক্সট বা বয়ানে আকরিত করেন। যে আততি-দ্বন্দ্ব-সংযোগহীনতা তিনি পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে নিজ সত্তার দেখেন, তাকে একটি বীক্ষাগত বিন্দু থেকে সংহতি দেন উপন্যাসে। বলা ভাল, বাস্তবের সঙ্গে নিজ চৈতন্যের সামঞ্জস্যহীনতাকে তিনি দূর করতে চান উপন্যাসের নির্মাণ সূত্রে। এই নির্মাণে ছায়া ফেলে তাঁর দেশের সমাজের ইতিহাস বর্তমান, ছায়া ফেলে তাঁর শ্রেণির চৈতন্য ও বাস্তবের ইতিহাস–ঔপন্যাসিক নিজ অভিজ্ঞতা ও মননে তাকে একটি আকরণে অনন্যরূপ দেন। এক অর্থে এই রূপ একই বিশেষ সময়ের কনজাংচারাল, একটি সময়ের অর্থনীতি রাজনীতি অভিজ্ঞতার ভাষারূপে দেশকালে বদ্ধ। কিন্তু কনভেনশন ও তার স্বীকৃতি এবং ভাঙার সূত্রে, দৈনন্দিন প্রবাহিত জীবন ও মানুষের চিত্রকল্পে, বিভিন্ন মাত্রা ও স্তরের অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ উপন্যাস অর্গানিকও হয়ে ওঠে। একটি বিশেষ সময়ের সাময়িক নির্মাণ প্রসারিত হয়, বহমান হয় কালে কালোত্তরে। অন্য দেশ, অন্য সময়ের পাঠকও তাই উপন্যাস পাঠে তাঁর সময়ের দ্বন্দ্ব আততি, নিজ সত্তা ও বাস্তবের বিচ্ছিন্নতার সমাধান - দিক নির্দেশ পেতে পারেন উপন্যাসে, যা একইসঙ্গে সাময়িক ও বহমান”।
বিভিন্ন বইয়ের নামকরণে তিনি কেন উপন্যাস রাজনৈতিক এই সাধারণ সারটুকু নিয়ে আসেন, তা বোঝা যায় যখন তিনি বলেন, “কোন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ না থাকলেও একটি উপন্যাস রাজনৈতিক মাত্রা অর্জন করতে পারে ইতিহাস ও সমাজের গভীর বোধে। অন্তঃসলিলা ইতিহাসের প্রক্রিয়ার উন্মোচনে, অভিজ্ঞান সন্ধানে, জনসমাজের নির্মাণ ভাঙনের চেতনায়, এমন কি ধর্মীয় জিজ্ঞাসার বহুমাত্রিক অন্বেষণেও উপন্যাস হয়ে উঠতে পারে রাজনৈতিক”। উপন্যাস আলোচনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিকতাকে বোঝার ক্ষেত্রে মার্কসের একটি মন্তব্যকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা তোলেন পার্থপ্রতিম – “Political power is precisely the expression of antagonism in Civil Society”। রাষ্ট্র নয়, রাজনীতির মূল কথা যে সিভিল সোসাইটি বা জনসমাজ, উপন্যাসের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ নির্ভর আলোচনায় তা বারবার মনে করিয়ে দেন পার্থপ্রতিম। এই সূত্রের ব্যবহারে তিনি গ্রামসির লেখালেখির প্রসঙ্গকে বারবার আনেন, রাজনৈতিক কর্তৃত্বের সঙ্গে জনসমাজের ওপর হেজিমনি বা নিয়ন্ত্রণের সম্পর্কটিকে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষ তথা বাংলার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করেন। ঔপনিবেশিক পর্বের শ্রেষ্ঠ তিন আখ্যানকার বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রর কেউই এটা পুরোপুরি বোঝেন নি যে এদেশের জনসমাজের মুক্তির প্রধান কথা কৃষকদের মুক্তি। কৃষকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ ব্যতীত, এই জনসমাজের ভিত্তিমূলে না পৌঁছে, সামাজিক ধর্মীয় আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কাঙ্ক্ষিত নবজাগরণ সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ অবশ্যই এর ফাঁকটা ধরতে পেরেছিলেন, কিন্তু এর সমাধান তিনি করে উঠতে পারেন নি। এলিট রাজনৈতিক ভাবনা যে জনসমাজগত পুনঃনির্মাণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তার প্রভাব বিশ শতকের প্রথম দু দশক পর্যন্ত লেখা উপন্যাসেও পড়েছে। পার্থপ্রতিম দেখান তাঁরা কাজ করতে চেয়েছিলেন বৃটিশ রাষ্ট্রের চৌহদ্দির মধ্যে। রাষ্ট্র নিরপেক্ষ জনসমাজ অপেক্ষা ইংলণ্ডের রাষ্ট্র সর্বময়তা ও আইনী দিকের প্রতিই তাঁদের ঝোঁক থেকেছে। এ প্রসঙ্গে আমাদের মনে পড়তে পারে পার্থপ্রতিম বাবুর অগ্রজ, বিখ্যাত সাহিত্য সমালোচক সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘বাংলা উপন্যাসের কালান্তর’ নামক বিশিষ্ট গ্রন্থটির কথা। সেখানে বাংলা উপন্যাসের দ্বিধামুক্তির অধ্যায় হিসেবে তিরিশের দশক এর কালপর্বটিকে চিহ্নিত করেন লেখক, উল্লেখ করেন তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ ও মানিক—এই তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশিষ্টতার কথা। কারণ এদের হাত ধরেই জনসমাজের দিকে মুখ ফেরায় বাংলা উপন্যাস। রাজনীতির দিক থেকেও গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ততদিনে ব্যারিস্টারি এলিটিজম ছেড়ে কৃষক জনতার মধ্যে ঢুকে যেতে পেরেছে সাফল্যের সঙ্গে। পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশঙ্কর এবং বিভূতিভূষণ এর উপন্যাস নিয়ে লেখেন দু দুটো স্বতন্ত্র বই। বিভূতিভূষণের গল্পের জগতের মননশীল আলোচনা নিয়ে আরেকটি স্বতন্ত্র বইও রয়েছে তাঁর। এগুলিতে তিনি দেখান বাংলা আখ্যান তিরিশের দশক থেকে কীভাবে জনসমাজের রাজনীতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করছে। বিভূতিভূষণের ইছামতি যেমন। রাষ্ট্রের উত্থানপতনের গতির আবর্তের বাইরে জনসমাজের নিজের চলার একটা নিজস্ব সহজ ভঙ্গীকে ইছামতির প্রবাহের সঙ্গে সমীকৃত করে তোলেন বিভূতিভূষণ। আবার ‘পথের পাঁচালী’র নিশ্চিন্দিপুরের হরিহর সর্বজয়া অপু দুর্গার গ্রামীণ আখ্যানে জনসমাজ ও কালবিন্যাসের এক অনন্য টানাপোড়েন ধরা থাকে, যা ক্রমশ এগোয় ‘অপরাজিত’তে। প্রচলিত ‘সভ্য’ সমাজের পরিচিত চৌহদ্দীর বাইরের এক ভিন্ন জনসমাজকে বাংলা উপন্যাসের অঙ্গনে নিয়ে আসেন বিভূতিভূষণ, তাঁর ‘আরণ্যক’এর মধ্যে দিয়ে। এগুলির পাশাপাশি পার্থপ্রতিম তাঁর আলোচনায় বেছে নেন তারাশঙ্করের সেই সব বিশিষ্ট রচনাকে যেখানে রাষ্ট্র রাজনীতি উঠে আসছে জনসমাজের ভেতর থেকেই। ‘ধাত্রীদেবতা’, ‘কালিন্দী’, ‘গণদেবতা – পঞ্চগ্রাম’, ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’র জনসমাজ মথিত রাজনীতির ভাষ্যটি আমরা পার্থপ্রতিম বাবুর আলোচনায় পাই।
কংগ্রেসী রাজনীতি জনসমাজকে তার অন্তর্গত করেছিল ঠিকই, কিন্তু জনসমাজের শ্রেণি অভিমুখ আর কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের শ্রেণি অভিমুখ এক ছিল না। আর এখান থেকেই জনসমাজের একাংশ কংগ্রেসী রাজনীতির থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পথের সন্ধান করছিল। চল্লিশের দশকের জটিল সময়ে কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস সোশালিস্ট দলের সঙ্গে কংগ্রেসী রাজনীতির যে দ্বন্দ্ব বিরোধ তাই নিয়ে সতীনাথ ভাদুড়ী লিখেছিলেন জাগরী। পাশাপাশি ছিল নিম্নবর্গের দিক থেকে, দলিতদের দিক থেকে কংগ্রেসী রাজনীতিকে সরিয়ে নতুন পথ চলার পথ খোঁজার আখ্যান ঢোঁড়াই চরিত মানস। পার্থপ্রতিম এই দুটি বিশিষ্ট বইয়ের মনোযোগী পাঠে নিবিষ্ট হন এবং তাদের নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি বই লেখেন।
নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা পার্থপ্রতিম আশৈশব নৈহাটিতেই থেকেছেন, বড় হয়েছেন, পড়িয়েছেন। কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনো করে এসে আবার স্থিত হয়েছেন নৈহাটিতেই। এখানকার সাহিত্য সংস্কৃতির আড্ডার মধ্যেই বিচরণ করতে চাইতেন তিনি। কোলকাতার সাহিত্যসভাগুলিকে এড়িয়ে চলার ইচ্ছের কথা নানা ঘনিষ্ঠজনকে বিভিন্ন সময়ে বলতেন তিনি। চাইতেন নৈহাটি কেন্দ্রিক, এরকম মফস্বল কেন্দ্রিক অনেক নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের বিকাশ। নৈহাটি সিনে ক্লাবের সঙ্গে তাঁর ছিল দীর্ঘদিনের এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ও চলচ্চিত্রচর্চার ফসল তাঁর “চলচ্চিত্রের নন্দনতত্ত্ব” নামের বইটি। আইজেন্সটাইন বা চার্লি চ্যাপলিনের ছবি নিয়ে এখানে যেমন তিনি আলোচনা করেছেন, তেমনি ভেবেছেন হিন্দি নিউ ওয়েভ ছবি নিয়ে বা বাংলা ছবির শ্রেণিচরিত্র নিয়ে। এই অঞ্চলের ভূমিপুত্র বিখ্যাত কথাকার সমরেশ বসু ছিলেন তাঁর অগ্রজ সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাদের পরিবারের অন্তরঙ্গ বন্ধু। কাছ থেকে দেখা এই কথাকারের সাহিত্যকর্ম নিয়ে লেখা 'সমরেশ বসু : সময়ের চিহ্ন' বইটি বাংলাভাষায় সমরেশ চর্চার অপরিহার্য উপাদান।
পার্থপ্রতিম ছিলেন এক বহুপাঠী মানুষ। মার্কসবাদী বীক্ষাই তাঁর আখ্যান চিন্তা পদ্ধতির কাঠামো তৈরি করেছে। পাশাপাশি সমসময়ে আলোড়ন তোলা পোস্টমডার্ন ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়েও তিনি লিখেছেন। তাঁর এই সংক্রান্ত লেখালেখির সংকলন পাওয়া যাবে ‘পোস্টমর্ডান ভাবনা ও অন্যান্য’ নামের বইতে। পোস্টমডার্ন ভাবনার সঙ্গে মার্কসবাদের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধ নিয়ে তিনি এই লেখাগুলিতে গভীরভাবে ভেবেছেন। বাখতিনের উপন্যাস সংক্রান্ত আলোচনাকে এক বাঙালি পাঠক হিসেবে তিনি কীভাবে পড়ছেন সেই সংক্রান্ত লেখাও রয়েছে এই বইটিতে। আবার রয়েছে নকশাল আন্দোলন নিয়ে লেখা বাংলা গল্প উপন্যাসের কয়েকটি প্রবণতা নিয়ে এক ভাবনা উদ্দীপক লেখা। প্রসঙ্গত মনে রাখার নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা গল্পের এক সংকলনের সম্পাদনা করেছিলেন তিনি।
বাংলার ইতিহাস সংস্কৃতি সাহিত্য সিনেমাকে এক বিশেষ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে, ভাবতে শিখিয়েছেন পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়। কসমোপলিটন কেন্দ্রিক সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎকে অস্বীকার করে ভাবনায় ও যাপনে তাকে প্রতিস্থাপিত করতে চেয়েছেন ছোট ছোট মফস্বলী সংস্কৃতি চর্চার বহুত্ব দিয়ে। নৈহাটিকে কেন্দ্র করে এই নিয়ে নিজে সারাজীবন লেগেপড়ে ছিলেন। তাঁর ভাবনার উত্তরাধিকার নিয়ে এগিয়ে চলার দায় থেকে গেল আমাদের।