২৯ নভেম্বর যখন দিল্লীতে একের পর এক কৃষকদের দীর্ঘ মিছিল রামলীলা ময়দানে প্রবেশ করছে তখন একই সময় তাদের সমর্থনে হুগলী জেলার চুঁচুড়া ঘড়ি মোড়ে সারা ভারত কিষাণ মহাসভা (এআইকেএম)-র উদ্যোগে উদযাপিত হল এক অবস্থান কর্মসূচী।
বিকেল ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচীতে কৃষক, কৃষিমজুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহরাঞ্চলের শ্রমিক, ছাত্র ও নাগরিক সমাজ। অবস্থান স্থল থেকে বক্তারা উৎপাদন খরচের দেড় গুণ দামে কৃষকের ফসল ক্রয়, কৃষিঝণ মকুব ও কৃষি জমি রক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি এ রাজ্যের কৃষকদের প্রতি রাজ্য সরকারের উদাসীনতার বিষয়গুলিকেও তুলে ধরেন। বিশেষতঃ ধানের বাজার দর দ্রুত নেমে যাওয়া, রবি শস্য ও আলু চাষের মরশুমে জলাভাব এবং আলুর দর তলানিতে এসে ঠেকায় কৃষির সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের কথা সভায় তুলে ধরা হয়।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, আয়ারলা-র পক্ষে সেখ আনারুল, গোপাল রায় ও সজল অধিকারী, এআইকেএম-এর তপন বটব্যাল, এআইসিসিটিইউ-র বটকৃষ্ণ দাস ও ভিয়েৎ ব্যানার্জী, এআইপিএফ-এর কল্যাণ সেন ও বিশিষ্ট নাগরিক সনৎ রায় চৌধুরী। সভায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রশান্ত নাথ ও নারায়ণ দাস। কর্মসূচীটি সঞ্চালন করেন এআইকেএম-এর মুকুল কুমার।