— আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৫ অক্টোবর ২০১৮
দিল্লি, কেরল, মহারাষ্ট্রতো পিছনে ফেলে দিয়েছেই। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গের থেকে এগিয়ে গিয়েছে ছত্তীসগঢ়, ত্রিপুরা, সিকিম, গোয়ার মতো ছোট রাজ্যগুলিও।
পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক গড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। তার বড়জোর ১০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। বাকিটা ডাঁই করা হয় ভাগাড়ে। ফলে ভাগাড়ের জমি যেমন প্রতিদিন কমছে, বেড়ে যাচ্ছে দূষণের আশঙ্কাও। পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া এবং দীর্ঘাঙ্গী মৌজাকে কেন্দ্র করে গোটা ছয়েক পুরসভা বর্জ্য-সমস্যা সামাল দেওয়ার কাজটা ঠিকমতো করছে।
দিনের পরদিন ভাগাড়ে জঞ্জাল ডাঁই করার পরিণাম কী হতে পারে, কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় তাকালেই সেটা বোঝা যায়। দীর্ঘদিনের ভাগাড় ধাপা বন্ধ হতে চলেছে। ভাগাড়ের জমি খুঁজতে প্রশাসনের একাংশ নজর দিচ্ছে পূর্ব কলকাতার জলাভূমির দিকে। শহরের উপকণ্ঠে প্রমোদ নগর ভাগাড়ও ক্রমশ বুজে আসছে।শিলিগুড়ির ভাগাড়ের পরিস্থিতিও তথৈবচ। বড় শহরগুলির কাছে পিঠে ভাগাড় তৈরির কোনও জমিও মিলছে না।
আগে চন্দননগর-সহ কয়েকটি পুরসভা বিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু তা-ও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিবেশবিদেরা বলছেন, ভাগাড়ে জমা বর্জ্য থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হয় এবং তা থেকে আগুন জ্বলে ধোঁয়া ছড়াতে শুরু করে, ফলে আশপাশের হাওয়ায় বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। প্রমোদ নগর এলাকার বাসিন্দা এই বিপদ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। এখনও বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গেলে কটু গন্ধ পাওয়া যায়।
জৈব ও অজৈব বর্জ্য পৃথকীকরণের উপরে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া উচিত। পৃথকীকরণের পরে অজৈব বর্জ্যকে কম্প্যাক্টরে ফেলে নিংড়ে আয়তন কমালে বর্জ্যের সামগ্রিক পরিমাণ কমবে।