হুগলি জেলায় ভারত বনধকে সফল করতে কাজের এলাকাগুলিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন কোথাও এককভাবে ও কোথাও সিপিআই(এম)-র সাথে যৌথভাবে লাগাতার কর্মসূচী নেয়। ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে একটি যৌথ প্রচার মিছিল বেরোয় পাণ্ডুয়া ব্লকের বৈঁচীতে, বড় এলাকা পরিক্রমা করে। জেলা কমিটির সদস্য ও ব্লক সম্পাদক মুকুল কুমারের নেতৃত্বে সিপিআই(এমএল) কর্মীরা ও প্রদীপ সাহার নেতৃত্বে সিপিআই(এম) কর্মীরা এই মিছিল সংগঠিত করেন। পার্টির তরফ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম, পাভেল, ইউসুফ ও সুদর্শন বোস সহ লোকাল কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। ঐদিন প্রায় একই সময়ে চুঁচুড়ার তোলাফটক থেকে আর একটি যৌথ মিছিল বেরিয়ে শহর পরিক্রমা করে আখনবাজারে শেষ হয়। মিছিলে সিপিআই(এমএল)-র পক্ষে নেতৃত্ব দেন লোকাল সম্পাদক স্বপন গুহ সহ মাণিক দাশগুপ্ত, কল্যান সেন, ভিয়েত ব্যনার্জী প্রমুখ জেলা নেতৃত্ব। দুটি মিছিলের শেষেই নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল জ্বালানো হয়। ৯ সেপ্টেম্বর বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়ায় শেখ আনারুল, শোভা ব্যনার্জী ও নির্মান শ্রমিক কৃত্তিবাস বৈদ্যের নেতৃত্বে প্রচার গাড়ি ও মিছিল সংগঠিত করেন সিপিআই(এমএল) কর্মীরা। ঐদিনই সজল অধিকারি, গোপাল রায়, সজল দে সহ সিপিআই(এমএল) নেতাকর্মীরা পোলবা-দাদপুর ব্লকের সেঁইয়া থেকে আলিনগর, হারিট, সেনেট, পুঁইনান, দাদপুর সহ দীর্ঘ এলাকা টোটো ও মোটরবাইক সহযোগে ভারত বনধের সমর্থনে প্রচার পরিক্রমা করেন বিকাল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। জেলার শহরাঞ্চলে উত্তরপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত কোতরং ২ নং কলোনীবাজারের পার্টি অফিস থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশাল বিশাল লাল পতাকা ও চাইনিজে সজ্জিত একটি স্কোয়াড মিছিল বার করে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন। নির্মান শ্রমিক সংগঠক গজানন সাহা সহ লোকাল সম্পাদক বিশ্বজিত দাস ও প্রদীপ সরকার ও স্বপন মজুমদারের নেতৃত্বে শ্রমিক, ছাত্র ও মহিলা পার্টিকর্মীদের দৃপ্ত মিছিল হিন্দমোটরের ইটখোলা মোড়, নন্দন কানন, স্টেশন রোড পরিক্রমা করে জনবহুল বিপিনভিলা মোড়ে শেষ হয়। সেখানে এরিয়া সম্পাদক অপূর্ব ঘোষ ও আইসার সৌরভের বনধের দাবিসমূহের সমর্থনে ও বনধকে সফল করার আহ্বানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পরে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় চুঁচুড়াতেও পার্টিকর্মীরা একটি প্রচার গাড়ি বার করেন।
১০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বনধের দিন সকাল আটটায় কোন্নগর পার্টি অফিস থেকে নির্মান শ্রমিক সুজয় দে, পঞ্চানন, আইপোয়ার সংগঠক দুর্গা রায় ও ছাত্র অসীম সহ অপূর্ব ঘোষ, প্রদীপ সরকার প্রমুখের নেতৃত্বে মিছিল বেরিয়ে ২নং কলোনী বাজার হয়ে হিন্দমোটরের কিছু এলাকা ও কোন্নগর জোড়াপুকুর নিকটবর্তী অঞ্চল পরিক্রমা করে। এলাকার দোকানপাট অধিকাংশই ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে বন্ধ ছিল। বনধকে ভালোরকম সফল করার জন্য জনগনকে অভিনন্দন জানিয়ে ঐদিন বিকাল পাঁচটায় চুঁচুড়া কোর্টের ধার থেকে চুঁচুড়া-হুগলি পুরসভার অন্তর্গত বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে সিপিআই(এমএল) এবং সিপিআই(এম)-র একটি যৌথ মিছিল বালির মোড়ে পৌঁছে শেষ হয়।