দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিক্ষোভ সভায় নির্মাণ ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক কিশোর সরকার ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করেন--
(১) পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ব্রীজের বর্তমান অবস্থা শ্বেতপত্রের মারফত বাংলার মানুষকে জানাতে হবে।
(২) মৃতের পরিবারকে ২০ লক্ষ ও আহতদের ৫ লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
(৩) মৃতের সঠিক সংখ্যা রাজ্যবাসীকে জানাতে হবে।
(৪) মাঝেরহাট ব্রীজ ভাঙ্গার দায় কেন্দ্র ও রাজ্যকে নিতে হবে।
আগামীদিনে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম আইনকে তুলে দিয়ে ৪টি কোডে বেধে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করতে চাইছে। সামাজিক সুরক্ষার সমস্ত অর্থকে একযায়গায় এনে শিল্পপতি ও সরকারের দায় মুক্ত করতে চাইছে। শ্রমিকদের সামাজিক প্রদানকারী সমস্ত বোর্ডকে ভেঙ্গে একটাতে এনে জটিলতা সৃষ্টি করে সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা ও অবহেলা চলতে দেওয়া হবে, যেমন রাজ্য সরকার কর্তৃক এসএসওয়াই-২০১৭ তার ছোট্ট নমুনা হতে পারে। সুতরাং আগামীদিনে নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার বজায় রাখতে হলে অর্থনৈতিক দাবিকে অতিক্রম করে রাজনৈতিক অধিকারের দাবিতে ব্যাপক নির্মাণ শ্রমিকদের সামিল করতে হবে। ৫ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ, ডেপুটেশন হল তার প্রথম রিহার্সাল। আসুন পরবর্তী সংগ্রামকে বাস্তবায়িত করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, নিয়মিতকরণ করা, হাজার হাজার গণসদস্য সংগ্রহে সবাইকে সামিল করার কাজে হাত লাগাই।