হাটুরিয়া ২নং পঞ্চায়েতের হারোপ গ্রামের ১১নং বুথে এবারই প্রথম আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এখানে আমাদের প্রার্থী কমরেড সেখ তপন আলি। ভোটের আগে থেকেই, কমরেড তপন আলিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে তৃণমূল। মনোনয়ন যাতে তিনি জমা না দেন, তার জন্য চাপ দেওয়া হয় বিভিন্ন মহল থেকে, এমনকি পারিবারিক বিভাজন তৈরি করেও চেষ্টা হয় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকানোর। কিন্তু কমরেড তপন আলিকে কোনও কিছুই টলাতে পারেনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে বারবার বিভিন্নভাবে উস্কানি দেওয়া ও প্ররোচনা চালানো হয় ভোটের আগের রাত পর্যন্ত। ভোটের দিন সকাল থেকেই ওই কেন্দ্রের সিপিআইএম ও বিজেপি’র লোকেরা কার্যত ময়দানে ছিল না। সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। বুথের ভিতর ঢুকে বিভিন্ন ভোটারের ভোটে সহায়তার নাম করে কার্যত ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। রুখে দাঁড়ান কমরেড তপন আলি। যার ভোট সে দেবে, অসুস্থ ব্যক্তিকে সহায়তা করতে দায়িত্বশীল ভোটকর্মীরা। তৃণমূলের ওখানে ৮-৯ জন বুথের সামনে জড়ো হলে, তিনি তাদের ওখান থেকে চলে যেতে বলেন। না চলে গেলে যা হওয়ার হবে, যদি ওরা ঝামেলা করার চেষ্টা করে, দশটা মারলে, আমরাও অন্তত কয়েক ঘা দেবো, এটা উনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তাঁর দৃঢ় মনোভাবের সামনে পিছু হটে তৃণমূল বাহিনী। তারপর মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভোটারদের এনে, তাদের ভোটে সহায়তার কথা বলে চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। সিপিআইএম ও বিজেপি’র পোলিং এজেন্টরা নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। প্রতিবারই রুখে দাঁড়ান কমরেড তপন আলি। আমাদের কয়েকজন ভোটারের ভোটও দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তপন আলি সহ আমাদের কমরেডরা রুখে দাঁড়ান। তৃণমূল আবারও পিছু হটে। রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলাকালীন বারবার তৃণমূল এই ট্রায়াল দিয়ে যায় এবং তপন আলি সহ আমাদের কমরেডদের দৃঢ়তার সামনে রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হয়। কমরেড তপন আলি বলে দিয়েছিলেন, বুথ ছাড়বেন না, শেষ পর্যন্ত লড়বেন। এই লড়াইটাই তার জয়। মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন সেটা নিশ্চিত করবেন। ২০১৮’র পুনরাবৃত্তি হতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত বুথ আগলে থেকে কার্যত একাই রুখে দিয়েছেন বারবার তৃণমূল বাহিনীকে। জনগণের পক্ষে রুখে দাঁড়ালে, জনবিরোধীদের রুখে দেওয়া যায়।