খবরা-খবর
অন্য ভোটের দিনলিপি
another-poll-diary

“নকশালরা ছাপ্পা ভোট মারছে”

আজগুবি এই ধুয়ো তুলে ভোটের শেষ বেলায় তৃণমূল বাহিনী বুথে হামলা চালাতে যায়। ইতিমধ্যে দিনভর ভোটের রকম-সকম দেখে এলাকায় রটে গেছে এবার নকশালরা অঞ্চলে মেম্বার পাঠাচ্ছে। বুথের মধ্যে ঢুকে হামলাকারীরা ব্যালট বাক্স ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে টানাটানি শুরু করে। আমাদের কর্মীরা রুখে দাঁড়ায়। বাক্স আগলে রাখে। একজন মাত্র পুলিশ। ভোট কর্মীরা ভয়ে জড়সড়। দেখা যায় ঘরের ভেতর সিসি ক্যামেরা শুইয়ে রাখা হয়েছে। তিনি নিদ্রা গিয়েছেন! ঘটনাস্থল নদীয়ার গাছা শালিগ্রাম পশ্চিমপাড়া।

সর্বশেষ ভোটদাতা আমাদের সক্রিয় কর্মী আলাই সাহেব বলিষ্ঠভাবে সরকারী কর্মীদের বলেন এক্ষুনি আপনারা বাক্স সিল করুন। কত ভোট হল লিখিত কাগজ দিন।

ভোট কেন্দ্রের বাইরে তখন আমাদের কর্মীরা সহ শতাধিক মানুষ মারমুখী। দিনভর বিরতিহীন মানুষকে ভোট কেন্দ্রে পৌছানোর কাজ করেও তারা শেষরক্ষায় গড়ে তুলেছে মরিয়া প্রতিরোধ। সন্ধ্যা পেরিয়ে তখন রাত ৯টা। বেগতিক বুঝে অচিরেই তৃণমূল বাহিনী রণে ভঙ্গ দেয়। প্রিসাইডিং অফিসার বাক্স সিল করেন। গাড়ি করে ব্যালট বক্স সেক্টরের দিকে রওনা দেয়। পিছনে পিছনে পার্টি কর্মীরা যায়। মাঝপথে হঠাৎ গাড়ি থেমে যায়। অন্য আশঙ্কা করে পুলিশকে ফোন করা হয়। কারণ পার্শবর্তী দুটো বুথে ছাপ্পা মেরে তৃণমূল বাহিনী বেলা ১২টাতেই ভোট শেষ করে ফেলেছে। ফোন পেয়ে পুলিশ আসার পর গাড়ি রওনা দেয়। অবশেষে স্ট্রং রুমে বাক্স ঢোকানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করে পার্টি কর্মীরা রাত ১২টায় বাড়ি ফিরে আসে। এবার শুরু হয়েছে ১১ তারিখ গণনার লড়াইয়ের প্রস্তুতি। কবে হবে এ কাহিনি হাজার!

খণ্ড-30
সংখ্যা-23