২ এপ্রিল (রবিবার) হিন্দমোটর নন্দনকাননের ‘জ্যোতি’ অনুষ্ঠান ভবনে সংগঠিত হল সিপিআই(এমএল)-এর তৃতীয় উত্তরপাড়া থানা এরিয়া সম্মেলন। এই কর্মসূচির জন্য ভবন সংলগ্ন বেশ কিছুটা এলাকা লাল পতাকা, চাইনিজ, ব্যানার ইত্যাদিতে সুসজ্জিত ছিল। ভবন ও মঞ্চ নামাঙ্কিত হয় বিহারের ভোজপুরের ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের সংগঠক ও পার্টি পুনর্গঠনের অন্যতম কারিগর কমরেড অরূপ সেনগুপ্ত তথা দীনাজী ও রিষড়া জয়শ্রী টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক নেতা চথা এই অঞ্চলের পার্টি গঠনের অন্যতম সংগঠক কমরেড রামপিরীত সিং -এর নামে। সম্মেলনে জেলা কমিটির পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমরেড চৈতালী সেন, তিনিই সম্মেলনের শুরুতে পতাকা উত্তোলন করেন এবং তিনি সহ উপস্থিত সকল কমরেড শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে ও নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সম্মেলনের মূল পর্বের সূচনায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন কমরেড রবি শুর। এরপর পর্যবেক্ষকের সম্ভাষণ হয় এবং তারপরে বিদায়ী কমিটির তরফ থেকে সম্পাদক কমরেড প্রদীপ সরকার খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন। এই প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় মোট ১৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, যার মধ্যে ৪ জন মহিলা, ১ জন ছাত্র, ২ জন যুব ও বাকিরা নির্মাণ সহ বিভিন্ন শ্রমিক। বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড পার্থ ঘোষ ও হুগলি জেলা সম্পাদক কমরেড প্রবীর হালদার। উপস্থিত ছিলেন পার্টির শুভানুধ্যায়ী তথা সাংবাদিক ও অধিকার আন্দোলনের সংগঠক রূপম চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মোট ৮৫ জন সদস্য, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কয়েজন প্রবীণতম ও অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাওয়া কমরেডরাও; তাঁদেরকে কমিটির উদ্যোগে বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসা হয়। জবাবী ভাষণের পরে প্রতিবেদনটা কিছু সংযোজন সহ গৃহীত হয়। সর্বশেষ ১৩ সদস্যের নতুন এরিয়া কমিটি গঠিত হয় এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন কমরেড অপূর্ব ঘোষ। নবগঠিত এরিয়া কমিটির সদস্যরা হলেন – প্রদীপ সরকার, স্বপন মজুমদার, পূর্ণিমা সিংহ রায়, সুজয় দে, সৌরভ রায়, ভোলানাথ দে, গজানন সাহা, বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় চন্দ, সুদীপ্তা বসু, পঞ্চানন নন্দী, পরিমল দাস ও অপূর্ব ঘোষ।