৭ নভেম্বর ২০২২
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বৈধতা বহাল রাখার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তটি দুর্ভাগ্যজনক। এই সিদ্ধান্ত আমাদের সংবিধানে বিধৃত মূল চেতনার বিরুদ্ধে। ভারতের সংবিধানে অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিধান নেই। আমাদের সংবিধান অনুসারে সংরক্ষণের একমাত্র ভিত্তি হল সামাজিক, শিক্ষাগত ও ঐতিহাসিক অনগ্রসরতা।
প্রথম যখন ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আনা হয় তখনও সিপিআই(এমএল) তার বিরোধিতা করেছিল এবং ভবিষ্যতেও এরকম বিধানের বিরোধিতা করবে।
একদিকে, যখন সামাজিকভাবে বঞ্চিত অংশগুলির সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ আসে, তখন আদালত তৃণমূল স্তরের তথ্যের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি নানা শর্তের অবতারণা করে সেই পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দেয়। অন্যদিকে, সামাজিকভাবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অংশগুলির সুবিধার্থে আনা এই সংরক্ষণের বিধানটিকে আদালত ন্যায্যতা দিচ্ছে জমিনী বাস্তবতা যাচাই না করেই। তদুপরি, এই ১০ শতাংশ ইডব্লিউএস রিজার্ভেশনের উপার্জন-সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বার্ষিক ৮ লক্ষ টাকা, যা অর্থনৈতিকভাবে অনেক দুর্বল অংশকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে বাধ্য।
সিপিআই(এমএল) সুপ্রিম কোর্টের একটি বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা এই সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছে।
- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এমএল)