১২ অক্টোবর সিপিআই(এমএল) লিবারেশন কলকাতা জেলা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল মোমিনপুর ময়ূরভঞ্জ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে। এখানে কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া স্থানীয় একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে বিজেপি-সংঘ পরিবারের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রচার ও দাঙ্গার প্ররোচনা দেওয়া চলছে।
আজ অকুস্থলে গিয়ে দেখা গেল অঞ্চলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন, মোড় থেকে ব্যারিকেড করা, জারি আছে ১৪৪ ধারা। সকাল ১০টা পর্যন্ত দোকান বাজারের জন্য ব্যারিকেড খোলা থাকছে, তারপরেই যাতায়াত প্রায় নিষেধ। বস্তুত ব্যারিকেডের এইপারেও দেখা গেল বেশিরভাগ দোকান পাটের ঝাঁপ বন্ধ, খোলা নেই চায়ের দোকান। আশেপাশের ছোট দোকানদার, পথচলতি এলাকার মানুষ, ফল বিক্রেতাদের সাথে কথায় জানা গেল, কয়েকদিন আগে নবীদিবসের একটি পতাকা লাগানো ও ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা ও গন্ডগোলের সৃষ্টি হয় স্থানীয় ডোম ও মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বিজেপির প্রভাব রয়েছে। বচসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ও বাইরে বিজেপি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে এই কথাও অঞ্চলের আশেপাশের মানুষেরা বলেন। এমনকি বিদ্বেষের আবহাওয়া ছড়িয়ে এলাকায় নিম্নবর্ণের মানুষদের এই ধরনের বিবাদ ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে নেওয়া হচ্ছে বলেও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান।
তাঁরা আরো বলেন যে অঞ্চলে এখন ব্যাপক পুলিশবাহিনী থাকছে এবং এই মুহূর্তে কোনো অশান্তির পরিস্থিতি নেই। বস্তুত যত জনের সাথে কথা হয়, তাঁদের প্রত্যেকের কথা থেকে বারবার উঠে আসে এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে সহাবস্থানের কথা। একে অন্যের উৎসবে শরিক হওয়া, সাংস্কৃতিক আদান প্রদান এই অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্য। কোনো রকম অশান্তির পরিবেশ তাঁরা কেউই চান না এবং স্থানীয় একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে হিংসা, অপপ্রচার ও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টার বিরোধিতা করেন সবাই। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অমলেন্দু ভূষণ চৌধুরী, চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী, বাবুন চ্যাটার্জী ও মধুরিমা বক্সী।