গত ২৭ আগস্ট বাঁশদ্রোণীর পীরপুকুর রোড অঞ্চলে অমিত দাস নামে এক তরুণ, অনলাইন ফুড (জোম্যাটো) ডেলিভারি বয় দীর্ঘ ৩ মাস চাকরি না থাকার অবসাদে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। বৃদ্ধ মা-বাবার কাছে অন্ধের যষ্টির মতোই ছিল সে। পাড়ার ভালো ছেলে বলে নাম ডাকও ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সে ধীরে ধীরে অবসাদ গ্রস্ত হতে শুরু করে। মা রীনা দাস পরিচারিকার কাজ করেন, এবং অসুস্থ বাবা (অনল দাস) লাইনের বাইরে মাঝে মাঝে রিকশা চালান।
মঙ্গলবার এআইসিসিটিইউ-র তরফ থেকে এক প্রতিনিধিদল (স্বপন রায় চৌধুরী, শীলা দে সরকার, অনুপ চ্যাটার্জী, গণেশ পুষ্টি, শ্রীকান্ত ঘোষ, রবীন চৌধুরী) অমিতের বাড়িতে যান তাঁর মা বাবার পাশে দাঁড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনাটি জানতে।
অমিত সংসারে প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ টাকা করে দিত, রোজগার মোটামুটি ছিল। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া এবং নতুন চাকরি না পাওয়া তাকে এই ভয়ানক সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু এর দায় কার?
এআইসিসিটিইউ-র তরফ থেকে জানানো হয় তারা জোম্যাটোতে অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং জোম্যাটোকে অফিসিয়ালি চিঠি পাঠাবেন। সেখানে গিয়ে আরও একটি ছেলের আত্মহত্যার খোঁজ পাওয়া যায়। সেই ছেলেটি লটারির ব্যবসা করতো। কিন্তু ব্যবসায় লাভ না হওয়ায় এবং তার সংসার না চালাতে পারায় অবশেষে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। অমিতের সাথে একই দিনে এই ছেলেটিও আত্মহত্যা করে।
- অবন্তী