বিবৃতি
বড়ো চুক্তি সম্পর্কে সিপিআই(এমএল)-এর বিবৃতি

বড়োদের অঞ্চলে শান্তির লক্ষ্যে যে কোন পদক্ষেপই অভিপ্রেত, এবং বড়োদের সমস্ত গোষ্ঠীই বড়ো চুক্তিকে সমর্থন করেছে এবং আসামের অনেকেই এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে, বেশ কয়েকটি আশঙ্কা এবং প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোকে উপেক্ষা করা চলে না।

এই চুক্তির শর্তগুলো বিটিএসি এলাকাগুলোতে বসবাসকারী অ-বড়োদের অধিকার সম্পর্কে উদ্বেগকে সামনে নিয়ে আসছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এই চুক্তি যখন তৈরি হয় সে সময় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত সাংসদকে চুক্তি আলোচনা থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। বড়ো চুক্তির ৮ নং ধারা কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও-তে বসবাসকারী বড়োদের এসটি(এইচ) (পাহাড়ি উপজাতি)-র স্বীকৃতি দিয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলোতে যে পাহাড়ি উপজাতি জনগণ বাস করছেন এটা তাদের স্বার্থের হানি ঘটাবে।

যে প্রশ্নটা তোলা জরুরি হয়ে উঠেছে তা হল : শাসক বিজেপি  সারা আসাম জুড়ে চলা সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে এবং স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা কার্বি আংলং আন্দোলনের মত অন্যান্য আন্দোলনকে উপেক্ষা করে শুধুই বড়ো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে আলোচনা চালানোর পথেই কেন গেল? এই প্রচেষ্টার পিছনে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে বিভেদ সৃষ্টি করে শাসন অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে হয়।

এই চুক্তিতে ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের কেসগুলো ‘পুনর্বিবেচনার’ প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এটা দিয়ে এই ইঙ্গিতই করা হচ্ছে যে, বিটিএসি এলাকাতে বোমা বিস্ফোরণে এবং মুসলিমদের গণহত্যায় সাজাপ্রাপ্তদের কেসগুলো ‘পুনর্বিবেচনা’ করা হবে। বিজেপি সরকার মনে করছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং ঘৃণা জাত অপরাধগুলোর ‘পুনর্বিবেচনা’র ক্ষমতা তাদের রয়েছে এবং এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। চুক্তির নামে ন্যায়বিচারের সঙ্গে কখনই আপোষ করা যায় না।

খণ্ড-27
সংখ্যা-3