ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম কবে এই নিয়ে দুটি মত আছে। সিপিআই(এম) মনে করে তাসখন্দ উদ্যোগের সূত্রে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখটিকেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সূচনার সময় বলে মনে করা উচিত। এই দিনটিকে ধরেই তারা এখন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পালনের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সামিল হয়েছে। অন্যদিকে সিপিআই এবং সিপিআই(এমএল) মনে করে ভারতের মাটিতে কানপুরে ১৯২৫ সালে যে সম্মেলন হয়েছিল, তার মধ্যে দিয়েই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সূত্রপাত। এই লেখায় আমরা এই বিতর্কের পেছনের ইতিহাসটিকে ফিরে দেখতে চাইব।
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পর গোটা দুনিয়া জুড়েই কমিউনিজমের প্রতি এক ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয়দের মধ্যেও এই আগ্রহের উন্মেষ ঘটেছিল। প্রথম যারা রুশ বিপ্লবের অব্যবহিত পরেই নতুন এই মতাদর্শ নিয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করেন তাদের মধ্যে তিনটি আলাদা ধারাকে আমরা চিহ্নিত করতে পারি।
প্রথম ধারাটি ছিল ভারতের বাইরে কাজ চালানো ভারতীয় বিপ্লবীদের ধারা। এর তিনটি আলাদা স্থানিকতা বা উপধারা ছিল। প্রথম উপধারাটি ছিল জার্মানি কেন্দ্রিক। জার্মানি থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া একটি ভারতীয় গোষ্ঠী মার্কসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এঁদের মূল নেতা। মনে রাখতে হবে জার্মানিতে তখন মার্কসবাদী মতাদর্শ ও সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। দ্বিতীয় একটি উপধারা ছিল আফগানিস্তান কেন্দ্রিক। বরখাতুল্লা ছিলেন এই গোষ্ঠীর নেতা এবং কাবুলকে কেন্দ্র করে তারা মার্কসবাদ প্রচারের কাজ শুরু করেন। তৃতীয় উপধারাটি ছিল প্রবাসী পাঞ্জাবি গদর পার্টির লোকেদের উদ্যোগে তৈরি। আমেরিকাকে কেন্দ্র করে তারা কাজ করা শুরু করে। এদের প্রধান নেতা ছিলেন রত্তন সিং ও সন্তোখ সিং। এই তিনটি বিদেশী উপধারা নিজেদের মধ্যে সংযোগ রাখত প্রবাসী বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায় ও অবনী মুখার্জীর নেতৃত্বে।
ভারতের মধ্যেই তখন অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন চলছিল। খিলাফত আন্দোলনের বেশ কিছু নেতা কর্মী সেই সময় ব্রিটিশ-ভারত ছেড়ে আফগানিস্তান ও তুরস্কের দিকে চলে যান ও মার্কসবাদ প্রচারের কাজ শুরু করেন। এদের নেতা ছিলেন সৌকত ওসমানি, মহম্মদ আলি সেপাসসি প্রমুখ। এই দ্বিতীয় ধারাটিও ভারতের বাইরে থেকেই কাজ করতে শুরু করে।
অন্যদিকে তৃতীয় একটি ধারা ভারতের মাটিতেই মার্কসবাদ জানা বোঝা ও প্রচার প্রসারের তাগিদ অনুভব করে। অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় বেশ কিছু নেতা কর্মী -- যারা কেউ কেউ তখনও জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই নতুন পথ খুঁজছিলেন বা কেউ কেউ কংগ্রেসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে তা ছেড়ে নতুন পথ সন্ধান করছিলেন – তারা রুশ বিপ্লবের পর মার্কসবাদে আকৃষ্ট হন। বোম্বেতে এই গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন ডাঙ্গে, কলকাতায় মুজফ্ফর আহমেদ, মাদ্রাজে সিঙ্গারভেলু। লাহোরের ইনকিলাব গ্রুপ ও আকালি আন্দোলনের ভেতর থেকে বাব্বর আকালি গোষ্ঠীও মার্কসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
এই তিনটি ধারার মধ্যে প্রথম দুটি ধারার ভারতীয় বিপ্লবীরা, যারা মূলত ভারত ভূখণ্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন, তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দে বেশ কিছু বৈঠকে মিলিত হন। মহেন্দ্রপ্রতাপ ১৯১৮-তেই তাসখন্দে চলে এসেছিলেন। বরখাতুল্লা আসেন ১৯১৯-এ। ১৯১৯-এর ৭ মে তারা এবং আরও কয়েকজন ভারতীয় বিপ্লবী; যেমন মান্ডয়ান পার্থসারথী তিরুমল আচার্য, আব্দুর রাব লেনিনের সঙ্গে দেখা করেন। ১৯২০ সালের জানুয়ার থেকে এপ্রিলের মধ্যে বেশ কিছু বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী ভারতীয় তাসখন্দে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মহম্মদ আলি, মহম্মদ সাফিক, আব্দুল মজিদ, আব্দুল ফাজিল প্রমুখ। তারা সেখান থেকে -- সোভিয়েত ক্ষমতা কী ধরনের, বলশেভিকবাদ ও ইসলামিক জাতিসমূহ, ভারতীয় ভাইদের প্রতি -- ইত্যাদি নামে কিছু প্রচারপত্র বের করা শুরু করেন।
কমিন্টার্নের দ্বিতীয় সম্মেলন বসেছিল মক্সোতে, ১৯২০ সালের জুলাই-অগস্টে। তাতে যোগ দিতে মানবেন্দ্রনাথ রায় মস্কো পৌঁছান ঐ বছরের জুন মাসে। এই কমিন্টার্ন সম্মেলনে এছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন তাসখন্দে কাজ চালিয়ে যাওয়া অবনী মুখার্জী, মান্ডায়ন পার্থসারথী তিরুমল আচার্য, মহম্মদ সাফিক। কমিন্টার্ন সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই মানবেন্দ্রনাথ রায় ও অন্যান্যরা “ভারতীয় বিপ্লবের সাধারণ পরিকল্পনা ও কর্মসূচী” তৈরি করেন। এই কর্মসূচীতে তিনটি কাজের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
১) সারা ভারতের বিপ্লবীদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা ও সেই আয়োজনের লক্ষ্যে একটি বিপ্লবী কেন্দ্র তৈরি করা। (২) দ্রুততার সাথে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি তৈরি করা। (৩) বিপ্লবীদের জন্য সামরিক ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের আশু ব্যবস্থা করা।
এই কর্মসূচীর দ্বিতীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দ প্রবাসে “ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি তৈরি করা হয়”। ১৫ ডিসেম্বরের সভায় তিনজনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়, যার সদস্য ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়, মান্ডয়ন পার্থসারথী তিরুমল আচার্য ও মহম্মদ সাফিক। সেই সময় এই “পার্টি”র সদস্যসংখ্যা ছিল মাত্র তেরো। ঠিক হয় এই সদ্যগঠিত পার্টি কমিন্টার্নের তাসখন্দ ব্যুরোর পরামর্শে তাদের কাজ চালাবে। তখনও অবধি এই দলের কর্মসূচী কিছু নির্দিষ্ট করা হয়নি। ১৯২০ সালের শেষদিকে অবনী মুখার্জী এই কর্মসূচী তৈরি করেন। মানবেন্দ্রনাথ রায় অবশ্য এই কর্মসূচীকে বাতিল করে দেন।
শুরুর এই প্রচেষ্টাকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির যথাযথ সূত্রপাত বলা যায় কিনা, তাই নিয়ে বিতর্ক আছে। কমিন্টার্ন একে স্বীকৃতি দিয়েছিল কিনা, তাই নিয়ে প্রথম দিককার কমিউনিস্ট নেতাদের মধ্যে ভিন্ন মত বিদ্যমান। ডাঙ্গে বলেছেন কমিন্টার্ন একে স্বীকৃতি দেয়নি, মুজফ্ফর আহমেদের মতে স্বীকৃতি দিয়েছিল। নথি থেকে দেখা যায় এই “ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি” প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত চিঠি তাসখন্দের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও কমিন্টার্নের তৃতীয় সম্মেলনে যে সমস্ত সংগঠনকে আহ্বান জানানো হয়েছিল, তার মধ্যে “ভারতের কমিউনিস্ট গ্রুপ” কথাটির উল্লেখ আছে। অর্থাৎ পুরোদস্তুর কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে নয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা একটি গ্রুপ হিসেবেই আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট নেতৃত্ব তখন এই উদ্যোগকে দেখেছিল।
কমিউনিস্ট আন্দোলনে আগ্রহী নানা ভারতীয় ধারা -- তা ভারতের মধ্যেকারই হোক বা প্রবাসের বিভিন্ন কেন্দ্রিয়রই হোক – বস্তুতপক্ষে ১৯২০-র এই উদ্যোগের বাইরে ছিল। সারা ভারতের বিপ্লবীদের সম্মেলনের ব্যাপারে কমিন্টার্ন বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। ১৯২১-এর জানুয়ারী থেকে মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতৃত্ব মস্কোয় পৌঁছন। এদের মধ্যে আব্দুর রাবের তাসখন্দ কেন্দ্রিক গোষ্ঠীর বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, লৌহানি, ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, খাঙ্কোজী ছিলেন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বার্লিন গোষ্ঠী পরবর্তী আলোচনা সভাগুলিতে ভারতীয় ও বিশ্ববিপ্লব সম্পর্কিত সন্দর্ভ পেশ করে। আব্দুল রবও নীতি সংক্রান্ত কিছু সন্দর্ভ পেশ করেন। কমিন্টার্নের ইস্টার্ন কমিশন ও ভারতীয় কমিশন মানবেন্দ্রনাথ রায়, বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও আব্দুর রাব গোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়, যদিও তা খুব বেশি ফলপ্রসু হয়নি। এই অনৈক্যের পেছনে রাজনৈতিক ভিন্নতা ও গোষ্ঠী-স্বাতন্ত্র্যবাদী ঝোঁক উভয়ই কার্যকরী ছিল। তিরুমল আচার্য মানবেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের জোর জবরদস্তির ভিত্তিতে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টার অভিযোগ আনেন। অন্যদিকে আব্দুর রব রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণের দিক থেকে আপত্তি তোলেন। তাঁর মতে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মূল ঝোঁক ছিল কমিউনিজমের প্রচারের দিকে। অন্যদিকে রাব মনে করেছিলেন ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে বিচক্ষণতার সাথে জাতীয়তাবাদকে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করা দরকার। এই সমস্ত আলোচনা ও বিতর্কে কখনো কখনো লেনিনও অংশ নিয়েছেন। বিতর্কের পূর্ণ সমাধান না হওয়ায় ইপ্সিত সারা ভারত বিপ্লবী সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে লৌহানি ও বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সৃজ্যমান পার্টিতে যোগ দেন। তবে ভারতের জনগণের মধ্যে এই দল বা গোষ্ঠীর তখনো অবধি কোনো শিকড় ছিল না বলে একে কোনোভাবেই যথার্থ অর্থে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বলে মনে করা যায় না। মানবেন্দ্রনাথ রায় ও কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের নেতৃত্বও এই দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিলেন। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের সহায়তায় মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারতের ভেতরে যোগাযোগ তৈরিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ভারতে প্রতিনিধি, টাকাপয়সা, পত্রপত্রিকা পাঠানো শুরু হয়। মানবেন্দ্রনাথ রায় তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় নিয়মিতভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মার্কসীয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির করতে থাকেন।
ভারতের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন কমিউনিস্ট গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বিপ্লবী সংগঠনের সদস্য সত্যভক্ত। তবে কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের কিছুদিন পরেই তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ১৯২৫-এর কানপুর সম্মেলনের আগে ১৯২৪-এ তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি নামে একটি প্রকাশ্য সংগঠন তৈরি করেছিলেন, যার সদস্যসংখ্যা প্রথমে ছিল মাত্র ৭৮ আর পরেও বেড়ে দেড়শো ছাড়ায়নি। ভারতের বিভিন্ন কমিউনিস্ট গ্রুপগুলি বা ব্রিটিশ গোয়েন্দা, পুলিশ, সরকার – কেউই এই সংগঠনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু এই সত্যভক্তই যখন ১৯২৫ সালে কানপুরে ভারতের প্রথম কমিউনিস্ট সম্মেলন আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন, তখন সরকার নড়েচড়ে বসে। বোম্বের কমিউনিস্টদের নেতা ডাঙ্গে তখন জেলে ছিলেন। কিন্তু তার সমর্থন নিয়ে বোম্বের ডাঙ্গেপন্থীরা এই সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে সত্যভক্তকে সাহায্য করেন। তারা সবাই ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের এই কানপুর সম্মেলনে অংশ নেন। কলকাতার কমিউনিস্টদের নেতা মুজফ্ফর আহমেদ প্রথমে এই সম্মেলন সম্পর্কে খুব একটা উৎসাহ দেখাননি, পরে অবশ্য তিনি সম্মেলনে যোগ দেন। ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকেই প্রতিনিধিরা আসেন। কমিউনিস্ট প্রভাবিত কীর্তি পত্রিকার মতে সম্মেলনে মোট তিনশো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দা দপ্তরের মতে সংখ্যাটি ছিল ৫০০। সম্মেলনের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন হসরত মোহানি, যিনি ১৯২১-এর আহমেদাবাদ কংগ্রেসে পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন সিংহরাঘ ভেলু। সম্মেলন থেকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সংবিধান তৈরি হয় ২৬ ডিসেম্বর ১৯২৫-এ, গঠিত হয় সারা ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ১৯২৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত এই নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের ভিত্তিতে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেন।
ভারতের কমিউনিস্টদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব এবং ভারতের জনগণের মধ্যে প্রত্যক্ষ শিকড় ও যোগাযোগের দিকটিকে বিশেষভাবে মাথায় রেখে ২৬ ডিসেম্বর ১৯২৫-ই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম হয়েছিল বলে বিবেচনা করা যুক্তিসংগত।