কাশ্মীরের কুলগামে পশ্চিমবাংলার ৫ জন শ্রমিককে হত্যার ঘটনা স্তম্ভিত করে দেয়। একে ধিক্কার জানানোর জন্য কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয়। নিহতদের নাম কামিরুদ্দন শেখ, রফিকুল শেখ, রফিক শেখ, মুরসালিম শেখ ও নইমুদ্দিন শেখ; নিবাস — মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী ব্লক, বাহালনগর। রুটি-রুজির দায়ে এই গ্রামীণ মজুররা মরশুমী পরিযায়ী হন, এবারও গিয়েছিলেন অবরুদ্ধ কাশ্মীরে। ধূমায়িত অসন্তোষের অন্ধ আক্রোশ যে এভাবে নিরীহ শ্রমিকজীবন ছিনিয়ে নিতে পারে তা কল্পনা করতে গেলে শিউরে উঠতে হয়। কিন্তু সেটা ঘটেও গেল। মোদী সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। তবু মোদী-অমিত শাহরা নির্বিকার! পুলওয়ামা হত্যাকান্ডের ঘটনাকে যারা লোকসভা নির্বাচনে ন্যক্কারজনকভাবে ব্যবহার করেছিল তারা কুলগামে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কুলুপ এঁটেছে। কারণ বুঝতে অসুবিধা হয় না, হত্যাকারীর দল এবং হত্যার যারা শিকার, উভয়পক্ষই মুসলিম সম্প্রদায়ের। নিছক জঙ্গী আর পাকিস্তানের দিকে আঙ্গুল তুলে চুপ না থেকে মোদী সরকারকে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ, বিরোধী সংসদীয় জনপ্রতিনিধিদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানবাধিকার কমিশন ও সংগঠনগুলিকে পরিদর্শন করতে দিতে হবে এবং নিহতদের এককালীন পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গের জীবিকার সংস্থান করতে হবে।