১৮ অক্টোবর এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, বিজেপির নেতা-নেত্রীরা অশ্লীল, অশোভন, কুৎসিত ভাষায় কথাবার্তা বলতে অভ্যস্ত। এনিয়ে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। সকলেরই লক্ষ্য সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকা। আর এর মাধ্যমে রাজনীতির পরিবেশকে কলুষিত করার কাজটা তারা সযত্নে চালিয়ে যান। সদ্য অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা ভাবনাকে কেউ পছন্দ বা সমর্থন নাই করতে পারেন। ঐ চিন্তা ভাবনাকে কেউ “বামপন্থী” বলে নস্যাৎও করতে পারেন। এতে “অপরাধ” কিছু নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল যে ভাষায় ও যে যুক্তিতে অভিজিৎ ব্যানার্জির চিন্তা ভাবনা নাকচ করলেন, তা হাসির উদ্রেক করে মাত্র। “গত লোকসভা নির্বাচনে ‘ন্যায় প্রকল্প’ নস্যাৎ করার মাধ্যমে জনগণ অভিজিৎ ব্যানার্জির চিন্তা ভাবনাকেও নাকচ করে দিয়েছে” বলে পীযূষ গয়ালের মন্তব্য নাগপুর স্কুলে শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গরা বলতেই পারেন। কিন্তু আরএসএস পাঠশালায় শিক্ষিত রাহুল সিনহা যে ভাষায় অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন, “নোবেল পুরস্কার পেতে বিদেশি বউ লাগে” তা শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। নারীবিদ্বেষী, সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে লালিত-পালিত বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বস্তুত এস্টার ডাফলোকে কুৎসিত আক্রমণ করলেন। এরজন্য আমরা ম্যাডাম ডাফলোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু রাহুল সিনহার এই কুৎসিত নারীবিদ্বেষী সামন্ততান্ত্রিক মন্তব্যকে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না। রাহুল সিনহাকে প্রকাশ্যে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।