‘প্রজাপতি লজ’ শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগণা: গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, এআইসিসিটিইউ অন্তর্ভুক্ত ‘পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধনকর্মী (মিড-ডে-মিল) ইউনিয়ন’-এর শ্যামনগর ইউনিট গঠন হল। এই সভায় প্রাথমিক স্কুল — ২১টি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল — ১১টি থেকে উপস্থিত ছিলেন মোট ১৩৪ জন রন্ধন কর্মী। মিটিংয়ে ৬০ জন ইউনিয়নের সদস্য হন। পরবর্তীকালে আরও ২৫ জন সদস্য হয়েছেন। আশা করা যায় এর মধ্যেই সদস্য সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রন্ধনকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা জয়শ্রী দাস, এআইসিসিটিইউ উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি নারায়ণ দে, এআইএসএ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক শুভ্রদীপ অধিকারী ও রুমেলা দেব এবং সারা ভারত গ্রামীণ কৃষি মজুর সমিতির উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ।
২৯ আগস্ট কলকাতার বিক্ষোভ সমাবেশে এই অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজন রন্ধনকর্মী সামিল হয়ে ছিলেন। পূজার পর স্থানীয়ভাবে আশু দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিটিং ডাকা হয়েছে। আদিবাসী পাড়ায় দুটি স্কুলের সাথে মিটিং শেষে ‘আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ’ গঠন করা নিয়ে কথা হয়।
ভুল ভাঙার অভিজ্ঞতা। আমাদের ধারণা ছিল মহিলা ছাড়া মিড-ডে-মিল ইউনিয়ন গঠন করা সম্ভব নয়। বাস্তবে দেখা গেল কর্মরত মহিলা বা পুরুষ তাঁরা যে পেশাতেই থাকুন না কেন তাদের কাছে ইউনিয়ন নিজেদের চাকরি জীবনের অস্তিত্বের সাথে যুক্ত। এই অঞ্চলে সেই অর্থে কোনো মহিলা সংগঠক নেই, ট্রেড ইউনিয়নে কর্মরত পুরুষ কমরেডরাই মিড-ডে-মিল ইউনিয়ন সংগঠিত করছেন। ইউনিয়নকে কর্মীদের দাবি দাওয়ার আন্দোলন ও শাসক দলের আক্রমণ এলে প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত স্কুলে স্কুলে গিয়ে কর্মী ও শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে যাতে রন্ধনকর্মীদের ভবিষ্যৎ আন্দোলনে শিক্ষকদের সমর্থন পাওয়া যায়। এখন চ্যালেঞ্জ ইউনিয়নকে সংহত করা ও বিস্তার ঘটানো।
- নারায়ণ দে