খবরা-খবর
টিকিট বিক্রির এজেন্ট নিয়োগের প্রতিবাদে লক্ষীপুর স্টেশনে সর্বদলীয় বিক্ষোভ সভা

হাওড়া-কাটোয়া শাখার দীর্ঘদিনের পুরনো রেল স্টেশন লক্ষীপুর, ভান্ডারটিকুরী, কালীনগর ও বাঘনাপাড়া এই ৪টি স্টেশনের টিকিট বিক্রির জন্য রেলের কর্মী তুলে দিয়ে এজেন্ট নিয়োগের জন্য রেলের ডিআরএম(কমার্শিয়াল) হাওড়ার পক্ষ থেকে ২৫ আগষ্ট সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তার মানে এই স্টেশনগুলোকে ঠিকাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে এই শাখায় ইলেকট্রিক ও ডবল লাইন চালু হওয়ার পর প্রতিনিয়ত ট্রেন সংখ্যা বাড়ছে এমনকি কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার ইলেকট্রিক লাইন চালু হওয়া এবং ডবল লাইনের কাজ এগোচ্ছে। কাটোয়া-আহমেদপুর লাইন চালু হয়েছে। কাটোয়া-বর্ধমান লাইন চালু হয়েছে। তখন এই স্টেশনগুলোর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। তাই এই স্টেশনগুলোকে এজেন্টের হাতে তুলে দেওয়ার কথা শুনে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মানুষের বিক্ষোভের অংশীদার হিসেবে সিপিআই(এমএল) কর্মীদের উদ্যোগে সর্বদলীয়ভাবে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে ডিআরএম-কে পাঠানো এবং লক্ষীপুর স্টেশনে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করা হয়। এই সভায় এলাকার ব্যাপক মানুষ জমায়েত হয়। বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সিপিআই(এমএল), তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও অন্যান্য দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন অশোক চৌধুরী। বক্তারা রেলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেন। এবং আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দাবি করেন — (১) ডিআরএম-এর এই কালো বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে। (২) হল্ট এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে কর্মী সংকোচন ও পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটানো চলবে না। (৩) প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী কর্মী বাড়িয়ে রেল ও যাত্রী পরিষেবার উন্নতি ঘটাতে হবে।

খণ্ড-26
সংখ্যা-29