ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ব্লকের চুনঘাটি গ্রামের আদিবাসী কমরেড রামেশ্বর হেমব্রম গত ১৮ মে আকস্মিকভাবে সানস্ট্রোকে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি রেখে গেছেন চার ছেলে, তিন মেয়ে এবং তাঁর জীবনসঙ্গীকে। তিনি গরিব কৃষক পরিবারের সন্তান ছিলেন। ওঁর সমগ্র পরিবার নকশালবাড়ির রাজনীতির সাথে যুক্ত। দাদার হাত ধরে অনেক কম বয়সেই ১৯৮৫ সাল নাগাদ তাঁর এই বিপ্লবী রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেইসময় থেকেই আদিবাসী সহ গরিব মানুষদের সংগঠিত করার কাজ করে আসছিলেন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনে যুক্ত হওয়ার আসানসোল কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেইসময় যে সহযোদ্ধাদের সরাসরি পার্টি সদস্য পদ দেওয়া হয় কমরেড রামেশ্বর ছিলেন তাঁদের অন্যতম। ঝাড়গ্রাম জেলায় অত্যন্ত উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করে লিডিং টিমের সদস্য মনোনীত হয়ে আরও একবার গোপীবল্লভপুরে নতুন করে আদিবাসী তথা কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করার মুখেই প্রয়াত হলেন। তাঁর মৃত্যুতে ঝাড়গ্রাম জেলার সাথে সাথে গোটা রাজ্যের আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলন তথা কৃষক আন্দোলনের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। ঝাড়গ্রাম জেলা তথা সমগ্র পাটি তাঁর পরিবারের গভীর শোকের সমান অংশীদার এবং সমবেদনা জানানোর সাথে সাথে আন্দোলন ও সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলার পথে অবিচল থাকার শপথ নিচ্ছে। কমরেড রামেশ্বর হেমব্রম লাল সেলাম।
রিষড়া জয়শ্রী কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ও ঐ কারখানার এআইসিসিটিইউ ইউনিয়নের প্রাক্তন সম্পাদক এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রিষড়া শাখার সদস্য গত ১৪ মে তাঁর বিহারের দেওঘরিয়া জেলার বাড়িতে প্রয়াত হন। তিনি রিষড়ার বাড়ি থেকে ৬ মাস আগে বিহারে গিয়েছিলেন। স্নায়ুর সমস্যা থাকায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। গ্রাম থেকে হাসপাতাল অনেকটা দূরে থাকায় যাবার পথেই তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সাবালিকা দুই কন্যাকে রেখে যান। কমরেড রামপীরিতজীর রিষড়ার বাড়িতে পার্টি ও ট্রেড ইউনিয়নের বহু বৈঠক হয়েছে।
বহু যুদ্ধের সৈনিক কমরেড রামপীরিত সিং লাল সেলাম।