সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর এক প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,
বিগত দিনে ঐতিহ্যবাহী বালি পুরসভাকে বালির নাগরিকদের জনমতকে অগ্রাহ্য করে, স্বাধীকার ধ্বংস করে হাওড়া পুরনিগমের অন্তর্ভুক্ত করে তৃণমূল সরকার।
সিপিআই(এমএল) এই পদক্ষেপকে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছে এবং বালির মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলনে সামিল থেকেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নির্বাচন না করে পুর অধিকার ও নাগরিক পরিষেবাকে কার্যত বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে। জনমতের চাপে সাম্প্রতিককালে বালি পুরসভা পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রীসভা এবং বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল এখনো এই বিলে সই করেননি।
হাইকোর্টে রাজ্যের এটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন রাজ্যপাল সই করে দিয়েছেন, তাই আর নির্বাচনে বাধা রইলো না। ২০২২-এর ২২ জানুয়ারি হাওড়া পুরনিগম এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি বালি পুরসভার নির্বাচন হতে আর বাধা নেই। তারপরেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে রাজ্যপাল ট্যুইট করে জানান তিনি এখনো সই করেননি, বিলটি তার বিবেচনাধীন!
এই টানাপোড়েনে ভুক্তভোগী হচ্ছেন হাওড়া ও বালি এলাকার সাধারণ মানুষ। বিজেপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যপালের এই ট্যুইট যথেষ্ট সন্দেহজনক। তিনি এতোদিন ধরে কী বিবেচনা করছেন তা তিনি স্পষ্ট করুন। তার ভূমিকা সন্দেহজনক শুধু নয়, যথেষ্ট নিন্দনীয়।
সিপিআই(এমএল) লিবারেশন দাবি করছে অবিলম্বে হাওড়া পুরনিগম এবং বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করতে হবে এবং দ্রুত এই দুই পুরসভার নির্বাচন করতে হবে। ‘বিবেচনা’ করার নামে নাগরিক অধিকারকে খর্ব করার এই চক্রান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই।