বেতাইয়ে আদিবাসী মহিলা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডর বিরুদ্ধে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ৩ অক্টোবর ঘটনাস্থলে সরেজমিন পর্যবেক্ষনের পর দাবি জানালেন — দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিদর্শন দলে ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ মজুমদার, আলতাফ হোসেন, জীবন কবিরাজ, বিজয় সাহা ও বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী।
আদিবাসী পরিবার ও গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে প্রতিনিধিদল জানান — ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা নাগাদ বেতাই থেকে দুই কিমিঃ দূরবর্তী সীমান্ত এলাকায় নফরতপুর গ্রামের সর্দার পাড়ায় সীমা সর্দার (নাম পরিবর্তিত)-কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তারপর খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার স্বামী বাইরে কাজ করেন। ঘরে তাঁর একটি বিবাহিত ছেলে রয়েছে। কেউ কিছু বোঝার আগে যেভাবেই হোক দুস্কৃতিরা এই নৃশংস অপরাধ সংগঠিত করে। পরদিন সকালে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় বেতাইয়ের লালবাজার এলাকার কিছু যুবক ঐ পাড়ায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। পাড়ার কিছু যুবক ও মহিলাদের থেকে জনৈক সঞ্জয় ভক্ত (নাম পরিবর্তিত)-র নাম জানতে পেরে তার বাড়ীতে পুলিশ যায়। দেখা যায় সে পলাতক। স্বভাবতই সে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। পুলিশ তদন্তের জন্য সেখানকার একটি ছেলে ও একজন মহিলাকে তুলে নিয়ে আসে। যথারীতি নির্যাতিত মহিলার চরিত্র নিয়ে কিছু মানুষ নানারকম মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অপরাধকে লঘু করে দেওয়ার জন্য এই অপপ্রয়াসের আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও উপযুক্ত তদন্ত করে অপরাধীদের আজও গ্রেপ্তার করা গেলো না কেন? পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমরা এই প্রশ্ন তুলে ধরছি। এই দাবীতে ৬ অক্টোবর তেহট্ট থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ৫ অক্টোবর কৃষ্ণনগরে এসপির কাছে অনুরূপ দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়, ডেপুটেশনে ছিলেন অমল তরফদার, রণজয় সেনগুপ্ত ও জয়তু দেশমুখ।