২১ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুরে ১১টি ব্লক থেকে আসা বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে কর্মী সভা হয়। প্রায় একশোর মতো শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন, যাদের ৯০ শতাংশই নারী শ্রমিক। এর মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায় থেকে আসা। উপস্থিত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি, সম্পাদিকা এবং সহ সম্পাদক ও সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা সম্পাদক এবং ইনচার্জ সহ বেশ কয়েকজন কমরেড।
বিড়ি শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে, এবং সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি, পরিচয় পত্র, সামাজিক সুরক্ষার সমস্ত অধিকারের দাবিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শুধু বিড়ি শ্রমিকেরাই নয়, কিভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত সমস্ত শ্রমিকরা, ক্ষেতে-খামারে কর্মরত কৃষকরা এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কার্যকলাপের শিকার হচ্ছেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সর্বোপরি ২৭ সেপ্টেম্বরের বনধের প্রচারে কিভাবে বিড়ি শ্রমিকেরা তাদের দাবিগুলিও তুলে ধরবেন তা নিয়েও বক্তব্য উঠে আসে। বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে বনধের লিফলেট ও এআইসিসিটিইউ'র পোস্টার ব্লকগুলিতে লাগানোর জন্য দেওয়া হয়।
সবশেষে, ২১ জনকে নিয়ে জেলা কার্যকরি কমিটি গঠিত হয়। এর মধ্য থেকে অফিস বেয়ারার্স গঠন ১০ জনকে নিয়ে। সভাপতি আবুল কাশেম, সহ সভাপতি গুলশন বেগম, সনেহা বেগম, টুলু বালা দাস; যুগ্ম সম্পাদক জিল্লাল রহমান ও দিপালী মন্ডল, সহ সম্পাদক লুৎফা বেগম, চায়না চক্রবর্ত্তী, আসরাফুল আলম সরকার; কোষাধ্যক্ষ মানাউল্লা। আগামী ডিসেম্বরে জেলা কমিটির বৈঠক করা ও সেই বৈঠকে সমস্ত সদস্য জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।