৩০ মে, ১৮ বছরের আদিবাসী তরুণী পেকি বেকোকে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) জওয়ানরা তার বাড়ি বিজাপুর জেলার নেলসানার থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার পিতা মাতা পুলিশের পিছু ধাওয়া করে নাগাল পায় না তাদের কন্যার। পরে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাঁরা মেয়ের ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী পেকি একজন ‘মাওবাদী’ সন্ত্রাসী এবং সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ এটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।
বস্তারে এরকম ঘটনার লম্বা তালিকা – ছত্তিসগড় পুলিশ ধর্ষণ, হত্যা ঘটিয়েই চলেছে। ২০১১-তে তরুণী মীনা খালকোর গণধর্ষণ ও হত্যা হয় – ছত্তিসগড় পুলিশ বলে মেয়েটি মাওবাদী ছিল ও সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে। পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে জানা যায় পুলিশ ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। কিন্তু অপরাধীর বিচার এখনও হয়নি। এআইপিএফ’এর রিপোর্টে জানা গেছে পেকির মতো পান্ডিকে তার স্বামীসহ গ্রেফতার করে পুলিশ বাড়ি থেকে। পান্ডি ও তার স্বামীকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে পুলিশ, ও পান্ডিকে মাওবাদীদের উর্দি পরানো হয়। তাদের শরীরে অত্যাচারের চিহ্ন দেখা গেছে, যার দ্বারা প্রমাণ হয় এটি একটি ভূয়ো সংঘর্ষের ঘটনা। এআইপিএফ’এর তথ্য বলছে, দুটি তরুণী – ভানজাম শান্তি এবং সিরিয়াম পজ্জি – বয়স ১২/১৩, এদেরও ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে পুলিশ। পুলিশের বয়ান হল, ওরা ‘মাওবাদী স্কোয়াড’এর সদস্য এবং সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।
অক্টোবর ২০১৫, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে প্রকাশ, কমপক্ষে ১৬জন মহিলা – প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা ধর্ষিত, যৌন লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত হয়েছেন। অবশ্যই ছত্তিসগড়ের বিজাপুর জেলার পুলিশের দ্বারা।