২৭ জুলাই শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে প্রয়াত হন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের বালি-বেলুড় লোকাল কমিটি সদস্য এবং মহাদেও জুটমিলের বিসিএমএফ নেতা দীর্ঘদিনের লড়াকু কমরেড রাজেন্দ্র গুপ্তা (সাউ)। তিনি দূরারোগ্য গলার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মহাদেও জুটমিলে প্রথম পর্যায়ে তৈরির প্রক্রিয়ায় সিপিএমের সেই সময়ের সন্ত্রাসকে প্রতিহত করে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কমরেড রাজেন্দ্র গুপ্তা (সাউ) অন্যতম। মিলের পিএফ ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচনে কমরেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সেই নির্বাচনে জয় আসে। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূলের সন্ত্রাসকে প্রতিহত করেও জুটমিলে সংগঠনের পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে রেখেছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন মহাদেও জুটমিলের সামনে যখন অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন কোনোরকম কর্মসূচি নেয়নি শাসক দলের ভয়ে।
রাজেন্দ্র গুপ্তা ছিলেন বিসিএমএফ-এর রাজ্য কাউন্সিল, এআইসিসিটিইউ-র হাওড়া জেলা কমিটি এবং পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমরা হারালাম মহাদেও জুটমিলের এই জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা এবং পার্টি নেতাকে। এক অপূরণীয় ক্ষতি হোল শ্রমিক আন্দোলন এবং পার্টির। তাঁর প্রয়াণে থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করেন বিসিএমএফ-এর পক্ষে নবেন্দু দাশগুপ্ত, এআইসিসিটিইউ রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু, অতনু চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তাঁর মরদেহ প্রথমে তাঁর পুরানে বাড়ি বালি রাসবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আনা হয় বালিতে পার্টির জেলা অফিসে। সেখানে রক্তপতাকা দিয়ে কমরেডকে শ্রদ্ধা জানান পার্টির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত, বিসিএমএফ-এর মহাদেও জুটমিলের পক্ষে সমীর মজুমদার, বালি জুটমিলের পক্ষে তপন ঘোষ, পার্টির রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি সদস্য নিলাশিস বসু, জেলা কমিটি সদস্য মাধব মুখার্জি, বালি-বেলুড় লোকাল কমিটি সদস্য অঙ্কিত মজুমদার, রঘুপতি গাঙ্গুলি, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ বিশ্বাস, ধনঞ্জয় দাস, আইসার পক্ষে তীর্থ, পার্টির বর্ষীয়ান নেতা অমিতাভ ব্যানার্জী, অলোক দাস প্রমুখ কমরেড সহ প্রয়াত কমরেডের ছেলে রাহুল। নীরবতা পালন এবং সর্বহারার আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে কমরেড রাজেন্দ্র গুপ্তা (সাউ)-কে বিদায় জানানো হয়।
কমরেড রাজেন্দ্র গুপ্তা (সাউ) লাল সেলাম!