কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে বি এস এন এল কলকাতা সার্কেল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের জ্বলন্ত ইস্যুগুলোর আশু সমাধান চেয়ে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারীর ঐ স্মারকলিপিতে বলা হয় –
আমরা এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল যে, বিএসএনএল কলকাতা সার্কেলের অস্থায়ী ও ঠিকা কর্মচারিরা গত ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে বকেয়া মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী চালিয়ে আসছে। কন্ট্রাক্টচুয়াল লেবারদের দাবির সমর্থনে সমস্ত কর্মচারি শক্তি আপনার অফিস চত্বরে ২০২০-র ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী দিনরাতের ধর্ণা চালিয়েছে। আমরা এটাও জানি যে, অফিস কর্তৃপক্ষ ২০২০-র ফেব্রুয়ারী থেকে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থার আউটসোর্সিং লাগু করতে যে কন্ট্রাক্টচুয়াল লেবাররা বিএসএনএল গঠনের সময়কাল থেকেই রয়েছেন তাদের ছাঁটাই করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাছাড়া ৪-জি স্পেকট্রাম সহ বিএসএনএল-এর পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি পূরণে নিশ্চিন্ত করার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচন্ড নিস্পৃহতায় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নসমূহ ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী স্টাফ থেকে শুরু করে সমস্ত ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টচুয়াল লেবারদের লাগাতার দিনরাতের ধর্ণা অবস্থান করতে দেখেও কর্তৃপক্ষ কত অনড় মনোভাব নিয়ে চলেছে। আমরা অবহিত হয়েছি, বিভাগীয় ইউনিয়ন নেতৃত্ব কলকাতা সার্কেল ম্যানেজমেন্টের কাছে এই সমস্যার অবিলম্বে সমাধান দাবি করে স্মারকলিপি দিয়েছে, তবু সার্কেল কর্তৃপক্ষ স্টাফ সমস্যার এখনও কোনো সমাধান করছেন না।
তাই প্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় ইউনিয়নসমূহের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পুনরায় অনুরোধ জানানো হচ্ছে, যত দ্রুত পারেন যথাযথ পদক্ষেপ করুন, যাতে গরিব ঠিকা শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পেতে পারেন এবং কর্মরত কন্ট্রাক্টচুয়াল লেবারদের ছাঁটাই পরিকল্পনা যাতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কর্মচারি ইউনিয়ন ও এ্যাসোসিয়েশনের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করতে অর্থবহ আলোচনায় বসা হোক, নচেৎ বিএসএনএল-এর শ্রমিকদের এই শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে উপযুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের রাস্তা ধরবে।