সারা ভারতের অর্থনীতি যখন নিম্নগামী সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী রাজ্যের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপন্ন অত্যন্ত দ্রুত লয়ে বাড়ছে। ২০১৮-১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী তা বেড়েছিল ১২.৫৮% হারে। এ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সে হার কমিয়ে ১০.৪%-তে আসার কথা ঘোষণা করতে অমিত মিত্র মহাশয়ের নিদারুণ দুঃখ হয়েছে তা বলাই যেতে পারে। তবে সারা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যখন ৫%র নীচে নেমে এসেছে তখন তার দ্বিগুন হারে বৃদ্ধিতে অমিতবাবু বলতেই পারেন, “প্রতিবেশির হিংসা গৃহস্থের গর্ব”। বাজেট বক্তৃতাতেও তেমনটাই বলেছেন তিনি, “আজ ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার তলানিতে – ২০১৯-২০-তে ৫%-এ এসেছে যা বিগত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। সেই তুলনায়, বাংলার জিডিপি বৃদ্ধির হার একই সময়ে ১০.৪%এ পৌঁছেছে, যা ভারতের দ্বিগুণ।” যদি রাজ্য কর্তৃক প্রদত্ত পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায় তাহলে জিএসডিপি বৃদ্ধি সত্যিই চমকপ্রদ; গত ৫ বছরে যথাক্রমে ৬.১৩%, ৭.২০%, ৮.৮৮%, ১২.৫৮% ও ১০.৪%। এই হারে বৃদ্ধি ঘটলে রাজ্যের আয় বৃদ্ধিও অতি দ্রুত ঘটা উচিৎ। ফলে সরকারি কর্মচারিদের বেতন ও মহার্ঘভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব ঘটা উচিৎ নয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের কর্মচারিরা বেতনের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েই চলেছেন। এ বছরেও তার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশকে কার্যকরী করার সময়ে কোনোরকম বকেয়াতো দেওয়া হয়ইনি, উপরন্তু কেন্দ্রিয় সরকারি হারে মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে বর্তমানেই ১৭% (নুতন মূল বেতনের) তফাৎ থাকছে যা দেওয়ার কোনো ভাবনাই বাজেট বরাদ্দে লক্ষিত হয়নি। কেবল তাই নয়, ২০২০-২১ এর বাজেটে সারা বছরেই মহার্ঘ ভাতার দরুণ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। ফলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য সরকারী চাকুরেদের মহার্ঘ ভাতা, যা জীবনযাত্রার ব্যয় সূচকের সঙ্গে যুক্ত তার সমাপ্তি ঘটতে চলেছে।
রাজস্ব সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের যুক্তরাষ্ট্রিয়বাদকে আত্মসাৎ করে নেওয়া জিএসটি নামক অতি কেন্দ্রিকৃত কর ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ার পরে সরকারি বাজেটে সম্পদ সংগ্রহের কোনো অভিনব বন্দোবস্ত করার কোনো রাস্তা রাজ্য সরকারের অর্থমন্ত্রীর থাকে না। তিনি কেবলমাত্র খরচের ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় দিতে পারেন। সে বিষয়ে দৃষ্টি দিলে এমন কোনো নতুন ভাবনা চোখে পড়বে না। ২০১৯-২০ সালের বাজেট বরাদ্দের তুলনায় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটে উল্লেখিত সংশোদিত বরাদ্দ প্রায় সব খাতেই কম দেখা যাচ্ছে, অর্থাৎ গত বছরে সম্পদ সংগ্রহের ব্যর্থতা রাজ্য সরকারকে ব্যয় ছাঁটাই করতে বাধ্য করেছে। স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যাণ, তফশিলি জাতি-উপজাতি-অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী ও পুষ্টি-সামাজিক কল্যাণ ব্যতিরেকে সমস্ত খাতেই সংশোধিত বরাদ্দে ছাঁটাই চোখে পড়ছে। এর মধ্যে পুষ্টি-সামাজিক কল্যাণে সংশোধিত বরাদ্দ বাজেট বরাদ্দের তুলনায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করবে ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে। কিন্তু ২০২০-২১ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী সেই সংশোধিত ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কম বরাদ্দ করেছেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যাণ সর্বত্রই বাজেট বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশের মতো বেড়েছে। যেহেতু মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে ও পাইকারি হারই ৪-৫%-কে ছুতে চলেছে, তাই ওই সব ব্যয়ের প্রকৃত বৃদ্ধি ৫-৬%-এর বেশি হবে না। অর্থমন্ত্রী যখন রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ১০.৪% বলে জানাচ্ছেন তখন বাজেট বরাদ্দের বৃদ্ধি কেন তদনুরূপ বাড়ছে না সেটা আশ্চর্যের বিষয়। স্থির মূল্যে ১০.৪% বৃদ্ধি চলতি টাকার অঙ্কে ২০১৯-২০ সালের রাজ্যের আভ্যন্তরীণ উৎপন্নকে ১৩ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে দেবে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ মোট আভ্যন্তরীণ উৎপন্নের ২.৫%-এর সমান হবে। স্বাস্থ্য খাতে মোট আভ্যন্তরীণ উৎপন্নের ০.৮৫% বরাদ্দ করা হচ্ছে। সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবল বৃদ্ধি থাকা সত্বেও বরাদ্দের পরিমাণের এই অপ্রতুলতা উদ্বেগজনক।
জাতীয় নমুনা সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী জুলাই, ২০১৭-জুন, ২০১৮ সময়কালে করা সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে রোগ প্রতিষেধক ব্যবহার না ০-৫ বছরের শিশুদের হার ৩০-৪০ শতাংশ। ওই সমীক্ষার হিশেবে পশ্চিমবঙ্গের রোগীদের মাত্র ২৯ শতাংশ সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করায় না, যে হার সারা ভারতের হারের (৩০%) থেকেও কম। জম্মু কাশ্মীর (৬৯%), রাজস্থান (৪০%), ওড়িশা (৫৭%), কেরালা (৪৮%), তামিলনাড়ু (৫৪%) সহ অনেকগুলি রাজ্যই পশ্চিমবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। সাক্ষরতার হারে পশ্চিমবঙ্গ (৮০.৫%) সারা ভারতের গড়ের (৭৭.৭%)-এর উপরে থাকলেও তা সার্বিক সাক্ষরতার যথেষ্ট নীচে, এবং দেশের আরো ৯টি রাজ্যের থেকে খারাপ। রাজ্যের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষিত ব্যক্তির অনুপাত (১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার অনুপাতে) মাত্র ৩০%, সারা ভারতে যে হার ৩৮.৭%। ১৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে প্রথাগত শিক্ষাগ্রহণের গড় সময়কাল রাজ্যে ৮.৭ বৎসর, সারা ভারতের নিরিখে যা ৯.৭ বৎসর। কেরালায় ১০.৪ বৎসর। উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরবর্তি স্তরে রাজ্যে মোট শিক্ষা গ্রহণের হার যথাক্রমে ৫৯ ও ১৯, যা সারা ভারতের যথাক্রমে ৬৮ ও ২৩-এর তুলনায় বেশ কম। অনুরূপে, ৩-১০ বয়স গোষ্ঠি ব্যতিরেকে প্রত্যেকটি বয়স গোষ্ঠীতেই পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক মানুষজনের শিক্ষায় যোগদানের হার ভারতের সামগ্রিক হারের তুলনায় কম। এই সমস্ত তথ্যই জুলাই, ২০১৭-জুন, ২০১৮ সময়কালের জাতীয় নমুনা সমীক্ষার ৭৫তম রাউন্ডের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত ওই তথ্যগুলি ওই দুই ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব প্রদান দাবি করছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় পশ্চিমঙ্গের চরম ‘উৎকর্ষ’র দাবি করলেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপের জন্য কিছু করার কথা ভাবতেও নারাজ।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন যে, শিল্পোৎপাদনের নিরীখেও পশ্চিমবঙ্গে অতি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ সেরা। কিন্তু শিল্পের বার্ষিক সমীক্ষা (এ্যানুয়াল সার্ভে অফ ইন্ড্রাস্টিজ-এএসআই) অনুযায়ী ২০১০-১১ সালে ভারতে শিল্পে বিভিন্ন ভাবে কর্মরত মানুষজনের ৫.০১% ছিল পশ্চিমবঙ্গে; ২০১৭-১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৪.২৫%। ওই সময়কালে কারখানা শিল্পে কর্মরত ব্যক্তির সংখ্যা ৬,৩৫,৬২৬ থেকে ২৮, ১২৫ জন বেড়ে ৬,৬৩,৭৫১ হয়েছে; অর্থাৎ গড়ে বছরে বেড়েছে ৪, ০১৮ জন। ফলে বাজেটে ঘোষিত গত বছরে ৯ লক্ষ ১১ হাজার জনের কর্মসংস্থানের কোনো ছাপ ওই শিল্পের বার্ষিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫টি বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন আয়োজন করে রাজ্যে গত আট বছরে ২২,২৬৬ কোটি টাকার বিদেশী লগ্নি এসেছে। একথা সত্যি যে, সংসদের প্রশ্নোত্তরে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ওই ৮ বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে সারা দেশে। ফলে, ওই বিনিয়োগের পরিমাণ সারা দেশের তুলনায় ১ শতাংশের সামান্য বেশি। তাছাড়া, কোন কোন শিল্পে কী পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে সে ব্যাপারে যে রাজ্য সরকার ওয়াকিবহাল নয়, তা না হলে বিনিয়োগের তথ্যের সপক্ষে সংসদের প্রশ্নোত্তরের সাহায্য নিতে হত না। বড় শিল্পের ক্ষেত্রে ৪.৪৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কোথায় কোথায় শিল্প স্থাপিত হচ্ছে বা হয়েছে, কত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সেইরকমই আরেকটি বক্তব্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ২.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সমবায় ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি। তবে এই সমস্ত দাবির সমর্থনকারী কোনো প্রমাণ এখনো অবধি পেশ করা হয়নি।
এবছরের বাজেটে ১১টি নুতন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে যার সামগ্রিক ব্যয়ের পরিমাণ হবে ৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সকল বয়স্ক তফশিলী জাতি উপজাতির মানুষদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকার বার্ধক্য ভাতা উল্লেখযোগ্য। কোনো আয় বা সম্পদের সীমা ব্যতিরেকেই এইরূপ ভাতা কেন প্রদান করা হচ্ছে তা সরল যুক্তিতে বোধগম্য না হলেও আগামী ভোটের যুক্তিতে অনুধাবনযোগ্য। তবে কেন ওই ভাতার পরিমাণকে মাসিক ১ হাজার টাকার মতো নিম্ন স্তরে বেঁধে রাখা হচ্ছে? চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বাসস্থানের প্রকল্প অত্যন্ত আবশ্যিক একটি প্রচেষ্টা। কিন্তু চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষকে কেন শ্রমিকদের বাসস্থান সংক্রান্ত দায় থেকে মুক্ত করা হবে? যথাযোগ্য বাসস্থান প্রদান মালিকদের দায়। তদের তা দিতে বাধ্য করার বিধিসম্মত নিদানও অতীব প্রয়োজনীয়। ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’কে ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’য় রূপান্তর করাও একটি সুপ্রস্তাব। তবে তহবিলটির পরিমাণ মাসিক ৫৫ টাকা বা বার্ষিক ৬৬৯ টাকা অতি সামান্য। এক্ষেত্রে পরিমাণকে যথাযোগ্য করে তোলার প্রয়োজন। একই সঙ্গে অনুরূপ যোজনায় অন্তর্ভুক্তিযোগ্য জনগণকে বার্ধক্যভাতা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা দরকার।
কৃষিক্ষেত্রের জন্য এই বাজেটে তেমন কোনো ঘোষণাই করা হয়নি। উপরন্তু গত বাজেটের কৃষিক্ষেত্রের বরাদ্দ, ৯৭৬৪ কোটির তুলনায় সংশোধিত বরাদ্দ কমে হয়েছে ৬৪১৯ কোটি টাকা। বর্তমান বাজেটে তাকে গত বছরের তুলনায় মাত্র ৯% বাড়িয়ে ১০, ৬৪৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণেও ২০১৯-২০ বাজেট বরাদ্দের তুলনায় সংশোধিত বরাদ্দ ২৩% কম করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও বর্তমান বাজেটে তাকে গত বছরের তুলনায় মাত্র ৭.২৫% বাড়িয়ে ৪,৮০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্র অবহেলিতই থেকেছে। মনে হয়, কৃষকদের আয় গত বছরেই ২০১০-১১র তুলনায় ‘৩ গুণ’ করে ফেলার আত্মতুষ্টিতেই মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রেরণা প্রদানে আগ্রহ হারিয়েছেন। তবে কৃষকদের আয় ৩ গুণের অবাস্তব কাহিনিতে বোধহয় অর্থমন্ত্রীও বিশ্বাস হারিয়েছেন, তাই এই বাজেটে তা উচ্চারিত হয়নি।
বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন রাজ্য সরকারের মোট ঋণ ছিল ১.৯২ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালের শেষে সেই পরিমাণ ৪.৭৪ লক্ষ কোটিতে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বাজেট অনুযায়ী বর্তমান বছরে বাজার থেকে ঋণ নিতে হবে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। যেহেতু, সুদের হার বামফ্রন্টের সময়কালের তুলনায় অনেকটাই কম তাই বর্তমান সরকার সুবিধেজনক অবস্থানে আছে। তা সত্বেও ঋণের বোঝা কমাতে সরকার অপারগ। তবে জিএসটি শর্ত অনুযায়ী ২০২২ সালের পরে কেন্দ্রিয় সরকার জিএসটি জনিত রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি আর মেটাবে না। এমনিতে প্রতি বছর ১৪% করে রাজস্ব আদায় বাড়ত এই ধারণার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। তখন রাজ্য সরকারের পক্ষে খরচ সামলানো আরো সমস্যা সঙ্কুল হয়ে উঠতে পারে।