মোদি সরকারের জন-বিরোধী, শ্রমিক-বিরোধী নীতি ও ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের ওপর মোদির হামলার বিরুদ্ধে এক অভূতপূর্ব সফল ‘সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট’ সংগঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ দৃঢ়তা দেখিয়েছে দেশের জনগণ, বিশেষত শ্রমিক শ্রেণী। সিপিআইএমএল তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছে।
দেশের শ্রমিকশ্রেণী সাধারণ ধর্মঘটে এগিয়ে এসেছেন মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে যে, সরকার যেন ভারতের জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারগুলির ওপর আক্রমণ না করে এবং গত শতক ধরে বিভিন্ন বিধানে বিধৃত আইনি ও সামাজিক সুরক্ষাগুলি থেকে জনগণের বিপুল অংশকে বঞ্চিত না করে। ধর্মঘটে শ্রমিকশ্রেণির পাশে এসে দাঁড়ায় জনতার বাকি সব অংশ — গ্রামীণ শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবীমহল, ছাত্রীছাত্র, যুব, দলিত, মহিলা সহ অন্যান্যরা — যাদের বিপুল অংশগ্রহণ এই ধর্মঘট আহ্বানের ঐতিহাসিক সাফল্য।
সমস্ত স্তরের জনতা, শিল্পক্ষেত্র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজের অন্যান্য অংশ রাস্তায় নেমে পড়ে। ফ্যাসিস্টদের দেওয়া হুমকিকে যেমন তাঁরা নস্যাৎ করে দিয়েছেন তেমনি ধর্মঘটের প্রাকমুহূর্তে একটি সরকারি আদেশনামার মাধ্যমে যেভাবে কর্মচারিদের ‘ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন’-এর হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাকেও অগ্রাহ্য করে ধর্মঘটে যোগ দেন সবাই।
কেন্দ্রের মোদি সরকার ও বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলির এবার অন্তত দেশের সাধারণ মানুষ, সংবিধান ও শ্রম আইনগুলিকে সম্মান দিতে শেখা উচিৎ। এনপিআর, এনআরসি, সিএএ ও ‘লেবার কোড বিল’ প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিৎ। সুধা ভরদ্বাজ সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন ও মানবাধিকার কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট মোদি সরকারকে নিশানা বানিয়েছিল কারণ সরকারটি অসংখ্য ফ্যাসিস্ট গ্যাং লালন পালন করছে এবং পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা চালাচ্ছে। জেএনইউ, জামিয়া, এএমইউ, বিএইচইউ সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মকে সিপিআই(এমএল) অভিনন্দন জানাচ্ছে। তাঁরা সর্বশক্তি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে এবং সমস্ত দমনপীড়নকে মোকাবিলা করে গণতন্ত্রের জন্য তাঁদের নিরন্তর লড়াই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছে।
আম্বেদকর ও ভগৎ সিংহের স্বপ্নের ভারত নির্মাণের সংগ্রামে আজকের স্ট্রাইক ও ভারত বন্ধ এক মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
- সি পি আই (এম এল) কেন্দ্রীয় কমিটি