যোগী শাসনে উত্তরপ্রদেশে দুর্বৃত্তরা দুঃসাহসী হয়ে উঠছে, একের পর এক নারী তাদের যৌন লালসা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, নারী নিপীড়নের ঘটনায় এমনকি বিজেপি বিধায়কদেরও জড়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে আর দুর্বৃত্তরা প্রশাসনের মদত পাচ্ছে। দুর্বৃত্ত রাজ দমনে যোগী শাসনের ব্যর্থতাকে ধিক্কার জানিয়ে সিপিআই(এমএল)-এর উত্তরপ্রদেশ শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, হায়দারাবাদের নারকীয় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারা দেশ যখন ক্রোধান্বিত এবং দুঃখপীড়িত, ঠিক তখনই উত্তরপ্রদেশে ঘটল নারী নিপীড়নের আর একটা পৈশাচিক ঘটনা। ধর্ষণের শিকার এক মহিলা ৫ ডিসেম্বর যখন উন্নাও-এর আদালতে যাচ্ছিলেন তখন দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক সুধাকর যাদব বলেছেন, ধর্ষণের শিকার মহিলাদের ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা দূরে থাক, তারা যখন ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে তখনও তাদের নিরাপত্তা দিতে যোগী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। উন্নাওয়ের সাম্প্রতিক ঘটনায় এটা প্রমাণিত হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার উন্নাও-এর মহিলা এ বছরের মার্চ মাসে এফআইআর করে তাতে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছিলেন এবং ন্যায় বিচারের জন্য আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই তার ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণ হেনে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল।
সুধাকর যাদব আরো জানিয়েছেন, দুর্বৃত্ত এবং খুনীদের সাহস বিজেপি শাসনে ক্রমেই বেড়ে চলেছে, রাজ্যে নারীবিরোধী হিংসার বাড়বাড়ন্ত ঘটছে এবং সরকারি পরিসংখ্যানই তাকে নির্দেশিত করছে। সম্প্রতি সম্ভল থেকে উন্নাও-এর ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, নারীদের উপর চালানো হিংসার সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের বুকের পাটা কত বেড়েছে তা এই সমস্ত ঘটনা থেকে সংশয়াতীত ভাবে প্রমাণ হচ্ছে। ঘটনাবলী নারীদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্পর্কে যেমন যোগী সরকারের আস্ফালনের প্রকৃত বাস্তবতাকে উন্মোচিত করছে, সেরকমই প্রতিপন্ন করছে বিজেপির ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ শূন্যগর্ভ ও কপট শ্লোগানকে।