বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় সংবাদমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ার পরিসরে ছেয়ে ছিল এক মেয়ের নাটকীয় প্রেম ও বিবাহের কাহিনী। সাক্ষী মিশ্র বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে অজিতেশ কুমারকে। এই ঘটনার সামাজিক অভিঘাত আমরা ততক্ষণ বুঝবো না যতক্ষণ না এটা বলা হবে যে সাক্ষী উচ্চবর্গীয় আর অজিতেশ দলিত। শুধু তাই নয়, সাক্ষী উত্তর প্রদেশের এক উচ্চবর্গীয় রাজনীতিবিদের মেয়ে। তার অভিযোগ বিয়ের পরে তাদের ক্রমাগত প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণভয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সাক্ষী এবং তার স্বামী অজিতেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মর্মে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সুরক্ষার আবেদন জানানোর পরেই এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হয়ে ওঠে।
সাক্ষীর বাবা রাজেশ মিশ্র, ওরফে পাপ্পু ভারতোল উত্তর প্রদেশের বেরিলি থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচিত বিধায়ক। ৪ জুলাই সাক্ষী এবং অজিতেশ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এর এক সপ্তাহ পরে এই দম্পতি দুটি ভিডিওর মাধ্যমে সাক্ষীর বাবা, তার দাদা ভিকি এবং তাদের এক সঙ্গী রাজীব রাণার বিরুদ্ধে হিংসা আর প্রাণে মারার হুমকির অভিযোগ জানায়, সঙ্গে এও জানায় যে সাক্ষীর পরিবারের এহেন ব্যবহারের প্রধান কারণ অজিতেশ একজন দলিত। সাক্ষীরা পুলিশ সুরক্ষার দাবি জানায়। এই দাবি নিয়ে তারা এলাহাবাদ হাই কোর্টেও যায়।
এই দম্পতি বেশ কয়েকটি চ্যানেলে এসে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলে, কীভাবে প্রাণভয়ে তাদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে, ক্রমাগত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালাতে হচ্ছে সে কথা জানায়। স্বাভাবিক নিয়মেই বিধায়ক মহোদয় এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাক্ষী এবং অজিতেশ যেদিন এলাহাবাদ হাই কোর্টে হাজিরা দিতে যায় অভিযোগ সেদিন কোর্ট চত্বরেই অজিতেশের উপর আক্রমণ হয়। কোর্ট তাদের পুলিশ সুরক্ষা দেয়, কিন্তু বোঝা যায় তাদের আশঙ্কা অমূলক নয়।
এই ঘটনাকে আমরা কীভাবে দেখবো? সমাজের গভীরে শিকড় গেঁড়ে থাকা জাতিবিদ্বেষের প্রতিফলন হিসেবে? নাকি পিতৃতন্ত্রের কদর্য প্রদর্শন হিসেবে? দুটোই সম্ভবত সঠিক মূল্যায়ন। আসলে সাক্ষী এবং অজিতেশ আমাদের বর্গ-সমাজের সুকৌশলে রচিত জটিল মানচিত্রের ঠিক সেই ছেদবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে জাতিব্যবস্থা আর পিতৃতন্ত্র পরস্পরের পরিপূরক এবং প্রতিপালক। একই সঙ্গে সাক্ষী আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কীভাবে ভারতে মেয়েরা তাদের নিত্যদিনের জীবনে নিজেদের পরিবারের মধ্যে অন্যায়ের শিকার হয়, ভেদাভেদের শিকার হয়। সেইসব ভেদাভেদের প্রকরণ অনেকসময় এতো সূক্ষ্ম অথবা আমরা সেগুলোতে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে সেগুলিকে আমরা আর অন্যায় বলি না, বলি পারিবারিক নিয়ম।
‘ভারতীয় যৌথ পরিবার’ নামক এক মহতী মিথ সিনেমা, সিরিয়াল থেকে আরম্ভ করে মন্ত্রী-সান্ত্রীদের বয়ানের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।এই মিথ ভারতের আর্থ-সামাজিক, আঞ্চলিক, জাতি-ধর্ম-বর্ণের বিভিন্নতাকে স্বীকৃতি দেয় না, বদলে নির্মাণ করে এক সর্বজনীন এবং ‘বিশুদ্ধ’ ভারতীয় পরিবারের মডেল। এইরকম পরিবারের ধারণা হিন্দুত্ববাদীদেরও বড় প্রিয় কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই পরিবার হিন্দু, উচ্চবর্গীয় এবং পিতৃতান্ত্রিক নিয়মের ছাঁচে গড়া। হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য এক সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতার ধারণাকে ভারতীয় জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়া, এমনকি ভারতীয় সাংবিধানিকতার উপরে তার স্থান করে দেওয়া। পরিবারের এই মডেল সেই প্রকল্পের সঙ্গে মানানসই। এই দুইয়ের সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে নানা সময়ে। কিছুদিন আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যসূচী নির্ণয় সংক্রান্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সংঘপন্থী ছাত্রসংগঠন এবিভিপি এবং শিক্ষকসংগঠন এনডিটিএফ একদিকে তাদের অপছন্দের নানা বিষয় (যেমন গুজরাট এবং মুজফফরনগর দাঙ্গা, দেশের বিভিন্ন অংশে ঘটে চলা গণহত্যা, জাতিবিদ্বেষ ও তৎসংক্রান্ত হিংসা ইত্যাদি) পাঠ্যসূচী থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকে। অন্যদিকে তাদের পছন্দের যে বিষয়গুলি পাঠ্যসুচীতে ঢোকাবার দাবী তোলে তার মধ্যে অন্যতম হল সমাজবিজ্ঞান পাঠক্রমে বৈদিক সমাজ এবং যৌথ পরিবারব্যবস্থা।
সাক্ষী-অজিতেশের ঘটনাটিও অনেকে পারিবারিকতার মোড়কে দেখার এবং দেখানোর চেষ্টা করেছে। একটি টিভি চ্যানেল তাদের সেটেই সাক্ষী ও তার বাবার মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে এই ‘পারিবারিক সমস্যার’ সমাধানের চেষ্টা করে – যে বাবা তাকে ও তার স্বামীকে প্রাণে মারার প্রচেষ্টায় আছেন বলে সাক্ষীর অভিযোগ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ট্রোলের দল সাক্ষীর বিরুদ্ধে কুকথার বন্যা বইয়ে দেয় কারণ সে নাকি পরিবারের সম্মানহানি করেছে। বিজেপি নেতা এবং মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গভ একাধিক ট্যুইটের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই বলে যে সাক্ষীর ঘটনার অতিপ্রচার ঘটছে। এর ফলে নাকি কন্যাভ্রূণ হত্যা বাড়বে কারণ মেয়েরা তাঁদের বানানো নিয়ম নাও মানতে পারে এটা মেনে নেওয়ার থেকে নাকি বাবা-মায়েরা মেয়েদের খুন করা শ্রেয় মনে করবেন।
গোপাল ভার্গবের এহেন উক্তিই প্রমাণ করে পরিবারের এই সাজানো-গোছানো ছবির পিছনে বেড়ে চলা লিঙ্গবৈষম্য। সেই বৈষম্যের ছবি ধরা পড়ে নানান আর্থ-সামাজিক সূচকে। ন্যাশন্যাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের প্রায় ৪০% অল্পবয়সী মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পায় না কারণ তাদের সংসারের নানা কাজ করতে হয়। গত দশকে শ্রমের ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব ক্রমশ কমেছে। ২০১৮ সালে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৬%। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৮ সালের ‘জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট’ অনুযায়ী মেয়েদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ভারত গত দশকে পৃথিবীর সমস্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম উন্নতি করেছে। অর্থনৈতিক সুযোগ আর শ্রমে ভাগীদারিত্বে নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে ভারত ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১৪২তম। সামগ্রিকভাবে নারী-পুরুষ বৈষম্যের নিরিখে ভারত ১০৩তম।
সাক্ষীর নিজের বয়ানেও ধরা পড়ে পরিবারের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রতিদৈনিক লিঙ্গভেদ। ‘আজ তক’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাক্ষী জানায় সে আরো বেশি লেখাপড়া করতে চেয়েছিল, চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল। তার বাইরে কাজ করায় পরিবারের আপত্তি ছিল। সেই আপত্তি মেনে নিয়েই সে তার বাবাকে অনুরোধ করেছিল যাতে ভাইয়ের মতো সেও বাবার কাজে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু বাবা তার কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি। বাড়ি থেকে বেরোবার ব্যাপারেও নানা প্রতিবন্ধক থেকে গিয়েছিল। তার ভাইয়ের কিন্তু সবকিছু করার স্বাধীনতা ছিল। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এতো নিয়মকানুন কারণ পারিবারিক ‘সম্মানরক্ষার’ সমস্ত দায়দায়িত্ব মেয়েদের কাঁধে। পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কেবল পরিবার নয়, কোনো গোষ্ঠীর, বর্গের বা জাতির সামাজিক সম্মানের অন্যতম সূচক হয়ে দাঁড়ায় নিজগোষ্ঠীর মেয়েদের উপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব।
ঠিক এইজায়গায় পিতৃতন্ত্র ও ব্রাহ্মণ্যবাদ একাকার হয়ে যায়। কৌমগত বিশুদ্ধতার যে ধারণায় ব্রাহ্মণ্যবাদের ভিত্তি তাকে বজায় রাখার অন্যতম প্রকরণ হল বৈবাহিক বিধিনিষেধ। আম্বেদকর ১৯১৬ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া তাঁর সেমিনার বক্তৃতায় বলেন যে ভারতের জাতিব্যবস্থার মূল ভিত্তি হল ‘এন্ডোগ্যামি’ অর্থাৎ বিবাহসম্পর্ককেবলমাত্র নিজবর্ণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। আম্বেদকর দেখিয়েছিলেন কীভাবে জাতির বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য নারী-পুরুষের সম্পর্ককে বাধ্যতামূলকভাবে নিজজাতির মধ্যে রাখা হয় । আম্বেদকর তাঁর নানা লেখায় বার বার বলেছেন জাতিব্যবস্থাকে ভাঙার অন্যতম উপায় অসবর্ণবিবাহ। তাঁর ‘অ্যানিহিলেশন অফ কাস্ট’ গ্রন্থে আম্বেদকর বলেন যে “একমাত্র রক্তের মিশ্রণই পারে পরস্পর সম্পর্কিত হওয়ার অনুভূতি গড়ে তুলতে। যতদিন না সম্পর্কের অনুভব সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে ততদিন বিচ্ছিন্নতার যে অনুভূতি জাতিব্যবস্থা তৈরি করে তা দূর হবে না...” (ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর, ‘অ্যানিহিলেশন অফ কাস্ট’, প্রথম প্রকাশ ১৯৩৬, পুনঃপ্রকাশ নবায়ন, ২০১৪)। এই ‘রক্তের মিশ্রণ’ বর্ণহিন্দুর পক্ষে এতটাই অকল্পনীয় যে একজন দলিতের সঙ্গে মেয়ের বিবাহ পরিবারের ‘সম্মানহানি’র কারণ হয়ে ওঠে। এই ধরণের ঘটনার অবধারিত ফল অনেক সময়েই তথাকথিত ‘অনার কিলিং’– যদিও নৃশংস নরহত্যা কোনো অবস্থাতেই সম্মানজনক নয়। ২০০৬ সালেই সুপ্রীম কোর্ট এ ধরনের ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ন্যাশন্যাল ক্রাইম রিপোর্ট ব্যুরোর ২০১৫ সালের রিপোর্টে এরকম ২৫১টি ঘটনার কথা আছে। ২০১৬ সাল থেকে আর এই রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়ায় গত তিন বছরের সঠিক তথ্য না পাওয়া গেলেও সংবাদমাধ্যমে যেটুকু প্রকাশ পায় তাতে মনে হয় না অবস্থার খুব পরিবর্তন ঘটেছে।
মেয়েরা যখন নিজেদের জীবনসঙ্গী চয়নের অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রয়োগ করতে চায় তখন আইন তাদের কোনো সাহায্য করে না। উপরন্তু আইনের অপপ্রয়োগ করা হয় তাদের এই অধিকার খর্ব করার জন্য। ২০১৪ সালে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্টে দিল্লির জেলা আদালতগুলি ২০১৩ সালে যতগুলি ধর্ষণের মামলায় রায়দান করেছিল সেগুলির তথ্যানুসন্ধান করা হয়। দেখা যায় মোট ৫৮৩ টি মামলার মধ্যে প্রায় ৪০% ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরা বাড়ির অমতে কিন্তু স্বেচ্ছায় সম্পর্কস্থাপন করায় বাড়ির লোক, এবং সাধারণতঃ মেয়ের বাড়ির লোক ছেলেটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে (কবিতা কৃষ্ণন, ‘অনার’ ক্রাইমস ইন ইন্ডিয়াঃ অ্যান অ্যাসল্ট অন উইমেনস অটোনমি)
অথচ অসবর্ণবিবাহের সমর্থন ও প্রচারের জন্য ২০১৫ সাল থেকে একটি সরকারি প্রকল্প আছে - ডঃ আম্বেদকর স্কিম ফর সোশ্যাল ইন্টিগ্রেশন থ্রু ইন্টার-কাস্ট ম্যারেজেস। এই প্রকল্প অনুযায়ী একদিকে সরকারের কাজ অসবর্ণবিবাহে উৎসাহদান আর অন্যদিকে অসবর্ণ দম্পতিকে আর্থিক সাহায্যদান। তবে এইধরণের প্রকল্পের প্রতি সরকারি মনোবৃত্তি যে চিরকালই দায়সারা। তাই সারা দেশে মাত্র ৫০০ দম্পতি এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন। প্রথম মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই অতি সীমিত প্রকল্পটিকেও ঠান্ডা ঘরে পাঠানোর বন্দোবস্ত পাকা হয়ে যায়।
তাই সাক্ষীকে ক্যামেরার সামনে বলতে হয় যে তার স্বামী এবং তার পরিবারের লোকজন জন্তু নয়, মানুষ। তাদের সঙ্গে যেন মনুষ্যোচিত ব্যবহার করা হয়। এই বছরেরই ১৪ জুলাই গুজরাটের বারোটি গ্রামের ঠাকুর সম্প্রদায়ের মেয়েদের অসবর্ণ বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই ঘটনাকে সমর্থন করেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক গেনিবেন নাগাজি, যিনি নিজে একজন ঠাকুর। বোঝা যায় জাতিবিদ্বেষ ও পিতৃতন্ত্রের এই মিশ্রণ কতটা সর্বব্যাপী। এটি সাক্ষী মিশ্রের ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এমনকি তার বাবা বা ভাইয়ের ব্যক্তিগত সমস্যাও নয়। জাতিবিদ্বেষ এবং পিতৃতন্ত্র যে সুবিধাজনক সহাবস্থান তৈরি করে নিয়েছে, তাতে মদত জোগাচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং জাতিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। এই সামগ্রিক তন্ত্রটির রাজনৈতিক বিরোধিতা না করা গেলে সাক্ষীদের কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।