আগামী ৩০ জুলাই কলকাতা নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’ গণকনভেনশন সফল করে তোলার লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলাকে নিয়ে ১৫ জুলাই শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদ সভাঘরে একটি কর্মীসভা আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, দার্জিলিং জেলা সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিজিৎ মজুমদার, রাজ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বাসুদেব বোস প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন পরবর্তী এই রাজ্য সহ সমগ্র দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিস্তারিত কমরেডদের সামনে তুলে ধরেন।
কর্মীসভার দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি জেলার জেলা সম্পাদক সহ জেলা নেতৃত্ব বর্তমান জেলা/এলাকার রাজনৈতিক অবস্থা, পার্টির অবস্থান এবং ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’ গণকনভেনশন নিয়ে নিজ নিজ জেলার প্রচার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত বলেন। মালদা জেলার সম্পাদক ইব্রাহিম শেখ, জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক ভাস্কর দত্ত, আলিপুরদুয়ারের চঞ্চল দাস, কোচবিহারের কমরেড মুকুল, উত্তর দিনাজপুরের তসলিম আলি, দক্ষিণ দিনাজপুরের কমরেড নজরুল, দার্জিলিং জেলার পবিত্র সিংহ বক্তব্য রাখেন।
কর্মীসভার শেষ পর্যায়ে রাজ্য সম্পাদক পার্থঘোষ এবং কার্তিক পাল বলেন এই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’- এর মতো গণকনভেনশনের গুরুত্বের কথা। সিপিএম তথা বামফ্রন্টের এক অংশের ভোট বিজেপির দিকে গেছে ঠিকই, কিন্তু এর বাইরেও এক বিশাল কর্মীবাহিনী আছে, যারা বামফ্রন্ট/ বামপন্থীদেরই ভোট দিয়েছে। এই সময়ে সেই সব মানুষদেরকে কীভাবে সঙ্গে রাখা যায়, তারা কি ভাবছেন, কি ভাবছেন শিক্ষক অধ্যাপক, সাংস্কৃতিক কর্মী। পার্টির কর্মী বাহিনী এবং সমাজের সর্বস্তরের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ যারা এই চলমান অসহনীয় ফ্যাসিস্ট পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছেন, তাদেরকে নিয়ে পরবর্তী লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সংহতির মধ্য দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলাই সময়ের দাবি। আগামী ৩০ জুলাই গণকনভেনশনে উত্তরবঙ্গ থেকে বড় সংখ্যায় কর্মীবাহিনীকে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে কর্মী সভা শেষ হয়। সভাটি পরিচালনা করেন অভিজিৎ মজুমদার।