১) নির্বাচন পরবর্তী রাজ্য পরিস্থিতিতে গ্রামাঞ্চলে শ্রেণী ও সামাজিক শক্তিগুলির ভারসাম্যে নানারকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী বিজেপি তার শক্তি ও দাপট বাড়িয়ে চলেছে এবং বর্তমানে প্রধান বিপদ হিসাবে সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে এআইকেএম-এর সংগ্রামী ভূমিকাকে জোরের সাথে তুলে ধরতে হবে। কৃষক আন্দোলন ও সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন ব্লক ও এলাকাস্তরে কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করা,অনুসন্ধান করা প্রভৃতি উদ্যোগ নিতে হবে। সেখান থেকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি ও কর্মসূচীগুলি নির্ধারণ করতে হবে। বিগত নির্বাচনে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকরা নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এখন আমাদের দাবি তুলতে হবে — ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করো। ফসলের সরকারী দর গ্যারান্টি করো “কৃষক বন্ধু- কিষাণ বীমা’’, ‘‘সকলের জন্য আবাস” এই ধরনের নানা প্রকল্পর কথা ওরা প্রচার করেছিলো, সেগুলি অবিলম্বে কার্যকরী করতে হবে, প্রকল্প রূপায়নে দুর্নীতি-বঞ্চনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি। অবস্থা অনুযায়ী অঞ্চল বা ব্লকে ডেপুটেশন দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
* বিভাজন ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে কৃষকের সংগ্রামী ঐক্যে ভাঙ্গন ধরানোর বিরুদ্ধে
* ফসলের দেড়গুণ দাম, ঋণমুক্তির দাবিতে
* কর্পোরেটদের কাছে কৃষিকে তুলে ধরার বিরুদ্ধে
* সিপিআই(এমএল)-এর ডাকে সংহতি ও প্রতিরোধ কনভেনশনে কলকাতা চলো।
এই স্লোগানগুলিকে প্রচারে নিয়ে গিয়ে কিষাণ মহাসভা কলকাতা কনভেনশনে যোগ দেবে। সমাবেশে সাধারণ কৃষকদের সামিল করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবে। গণ কনভেনশনে কৃষকদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কিষাণ সভার পক্ষ থেকে একটা লিফলেট প্রকাশ করা হবে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে প্রচারে নামতে হবে।
সিঙ্গুর নিয়ে বিজেপি নতুন করে কর্পোরেটের স্বার্থরক্ষার জন্য ওখানে কারখানা গড়ে তোলার কথা বলছে। নির্বাচনে জয়লাভ করেই ওদের সাংসদ বলেছেন,টাটাকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এইভাবে ওরা সুপ্রীম কোর্টের রায়কে অগ্রাহ্য করছে, এবং ঐতিহাসিক সিঙ্গুর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে গণরায় উঠে এসেছিলো তাকে উল্টে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এআইকেএম উর্বরা কৃষি জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে কিষাণ মহাসভার পক্ষ থেকে সিঙ্গুর চলো অভিযানের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই সিঙ্গুর রেল স্টেশনের পার্শ্ববর্তী স্থানে এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি —
* সিঙ্গুরে নতুন করে টাটার দালালি করা বন্ধ করো।
* সিঙ্গুরে কৃষকের জমি চাষযোগ্য করে ফেরত দিতে হবে।
* কৃষিজমি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকরী করো, প্রতিশ্রুতি পালন করো।
* উর্বর কৃষি জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না।