এ আই কে এম-এর হুগলী জেলা কমিটি প্রাথমিকভাবে জেলার একটি স্থানেই (পান্ডুয়ায়) অবরোধ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু পান্ডুয়ায় কৃষকদের গণ স্বাক্ষরসহ বিডিও ডেপুটেশন আগেই সংগঠিত হয়েছিল সে জন্য ব্লক অফিসের পরিবর্তে সবথেকে জনবহুল স্থান হিসেবে জিটিরোডের ‘কালনা মোড়’কে অবরোধস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। হাটবারে গঞ্জে বেশী জনসমাগম হয় এবং সেই কারণে অবরোধ কর্মসূচির তারিখ একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে পর পর দু-দিন ব্লকের বিভিন্ন স্থানে কৃষক জনগণের মধ্যে সরাসরি প্রচারকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২১ ডিসেম্বর বৈঁচিগ্রামের ২২নং রেল গেট, জীবন সিং-এর পাড় ও সুরসের পাড়ে মূলত গরিব আদিবাসী কৃষকদের বাড়ী বাড়ী প্রচার চালানো হয়। ২২ ডিসেম্বর সকাল বেলা জামগ্রাম-মন্ডলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু অংশ ছাড়াও ইলছোবা-দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি গ্রামে অটো প্রচার করা হয়। বিকেল বেলা ইলছোবা গ্রামের গরিব কৃষক অধ্যুষিত একটি পল্লীতে বাড়ী বাড়ী প্রচার চালানো হয়।
২৩ ডিসেম্বর পঞ্চাশ জনেরও বেশী কৃষকদের এক মিছিল পান্ডুয়া শশিভূষণ স্কুল থেকে তেলিপাড়া মোড় হয়ে এসে গঞ্জের কালনা মোড়ে সদাব্যস্ত জি টি রোড অবরুদ্ধ করে দেয়। ব্যপক যানজট সৃষ্টি হলেও শত শত মানুষ কর্মসূচিটির তারিফ করেন। সমগ্র কর্মসূচিতে এ আই কে এম নেতা তপন বটব্যল, মুকুল কুমার, গোলাম মহিউদ্দিন, ইউসুফ মন্ডল সহ আয়ারলার পক্ষে সজল অধিকারী ও নিরঞ্জন বাগ নেতৃত্ব দেন। পার্টির জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার ও ছাত্র নেতা সৌরভ রায় কর্মসূচিটিতে সারাক্ষণ উপস্থিত ছিলেন।