সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে প্রভাত কুমার এক প্রেস বিবৃতিতে জানান—অসমের তিনসুকিয়ায় অজানা এক গোষ্ঠীর হাতে বাংলাভাষী পাঁচ দলিত মজুরের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এঁরা হলেন সুবল দাস, শ্যামল বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, ধনঞ্জয় নমশূদ্র এবং অনন্ত বিশ্বাস।
এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে তথাকথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের’ বিরুদ্ধে ঘৃণার তীব্রতর প্রচারের পৃষ্ঠভূমিতে, যে প্রচারকে সুসংবদ্ধভাবে চালিয়েছে আসাম ও কেন্দ্রের শাসক বিজেপি। অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির যে কাজ চলছে, তার থেকে নাম বাদ যাওয়া জনগণকে বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ তার সাম্প্রতিক এক ভাষণে ‘উইপোকা’ বলে অভিহিত করেন। বিজেপি এমন এক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের জন্য প্রচার চালাচ্ছে যা কার্যত ‘হিন্দু রাষ্ট্র বিল’ হয়ে উঠবে। ঐ বিল অনুযায়ী হিন্দু পরিচিতিই হবে অভিবাসী/শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের ভিত্তি, আর প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অ-হিন্দু অভিবাসী/শরণার্থীদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।
অসম রাজ্যের বিজেপি সরকার জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, ঐ ধরনের ভয়াবহ ঘৃণার প্রচার ও হিংসার মুখে তাদের ঠেলে দিয়েছে অসহায়তার কবলে। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির ফলে সৃষ্টি হওয়া চাপ ও অনিশ্চয়তা থেকে জনগণকে রেহাই দেওয়ার জন্য সে কিছুই করেনি এবং তার এই উদ্যোগ বহু মানুষকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি এবং তার কেন্দ্রীয় ও অসম সরকারের হাতে লেগে রয়েছে তিনসুকিয়ায় গণহত্যার শিকার পাঁচজন মানুষের রক্ত।