২১ অক্টোবর জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের নিরঞ্জনপাট গ্রামে নারী নির্যাতনের এক বীভৎস ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রগতিশীল মহিলা সমিতির রেবা দাস, রুমা গুহ নিয়োগী, বৈশাখী রায়, আইনজীবী লুনা রায় লস্কর সহ মোট ৭ জন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামের মহিলাদের সাথে আলোচনায় জানতে পারেন যে, ঐদিন রাত ১টার সময় আদিবাসী মহিলা ফুল মুণ্ডাকে কতিপয় দুষ্কৃতীরা ধরে নিয়ে গিয়ে গিলণ্ডী নদীর তীরে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। ভোর সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা যন্ত্রণায় কাতর মহিলাকে দেখতে পেয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। মূল দুষ্কৃতী রাতনু মুণ্ডা অতীতেও এই ধরনের নির্যাতনের একটি ঘটনায় অভিযুক্ত, যার মামলা এখনও কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। শোনা যায় ঐ মামলায় নির্যাতিতার পক্ষে প্রধান সাক্ষী হওয়ার প্রতিশোধপরায়নতায় রাতনু মুণ্ডা এই কাজ ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীরা বর্তমানে তৃণমূল আশ্রিত। মাত্র কয়েক মাস আগে এক যুবতীকে মৃত অবস্থায় এই ধূপগুড়িতেই রেল লাইনের ধারে পাওয়া যায়, যা নিয়ে সারা জেলাব্যাপী তুমুল বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। মাত্র একমাস আগে পার্শ্ববর্তী ময়নাগুড়ি থানার জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন নদীর ধারে এক যুবতীকে স্তন কেটে মুখে অ্যাসিড ঢেলে মৃত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ে ময়নাগুড়িতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে।