আয় বৈষম্য বাড়ছে মোদী জমানায়
— এই সময় ২৯ অক্টোবর ২০১৮

মোদী জমানায় উচ্চবিত্তের আয়ের ফারাক বাড়ছে। এই তথ্য পাওয়া যায় স্বয়ং কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ(সিবিডিটি)-এর পরিসংখ্যান থেকে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে সিবিডিটি-র ওই তথ্য অনুযায়ী, মোদী সরকারের প্রথম ৩ বছরে, বছরে ২.৫ লক্ষ টাকার কম আয়ের শ্রেণীতে পড়া ব্যক্তিদের (যাঁরা আয়কর রিটার্ণ জমা দিয়েছেন) গড় আয় বছরে ১.৮০ লক্ষ টাকা থেকে ১১ শতাংশ কমে হয়েছে ১.৬০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, সমস্ত আয়করদাতাদের মোট ঘোষিত আয়ের শতাংশ হিসাবে বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন এমন করদাতাদের আয়ের পরিমাণ ওই তিন বছরে ৪০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.৫ শতাংশে।

তুলনায়, কোটিপতি করদাতাদের গড় আয় বছরে ৪ শতাংশ হারে বেড়েছে এবং সমস্ত আয়করদাতাদের মোট ঘোষিত আয়ের শতাংশ হিসাবে বছরে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা অবধি আয় এমন করদাতাদের আয়ের পরিমাণ ওই তিন বছরে ৪৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩.৬ আতাংশ।

ওই তিন বছরে, ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা অবধি বাৎসরিক আয়ের শ্রেণীভুক্ত করদাতাতর সংখ্যা বেড়েছে ২১ শতাংশ। আয়কর দপ্তরের নজরদারি বৃদ্ধির কারণে আগে যাঁরা নিজেদের আয় কমিয়ে দেখাতেন, তাঁদের একটা বড় অংশ এখন সেই প্রবণতা থেকে সরে আসায় আয়করের প্রথম স্লাবে পড়া দেশবাসীর আয় বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই তথ্য কেবল যে সব করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্ণ জমা দিয়েছেন শুধু তাঁদের দেওয়া পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করেই তৈরি।

সিবিডিটি জানিয়েছে, গত চার বছরে কোটিপতি আয়করদাতার সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। গত চার বছরে আয়কর রিটার্ণ ফাইলও ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ রিটার্ণ জমা পড়েছিল, যা ২০১৭-১৮-তে বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ।

সিবিডিটি-র তরফে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে জমা পড়া সমস্ত রিটার্ণ মিলিয়ে আয়করদাতাদের ঘোষিত বার্ষিক আয় ছিল ২৬.৯২ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অ্যাসেসমেন্ট বছরে ৬৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর একটা বড় কারণ, আগের থেকে কমপ্লায়েন্স অনেকটাই বৃদ্ধি, এমনই দাবি কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ বা সিবিডিটি-র।

খণ্ড-25
সংখ্যা-35