খবরা-খবর
হুগলী জেলায় বিপিএমও-র কর্মসূচী

হুগলী জেলার গ্রাম-শহরে রাজ্যব্যাপী ‘অধিকার যাত্রার’ অঙ্গ হিসেবে সংগঠিত মিছিল সমূহ বামপন্থী জনগণ ও কর্মীবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এই সব মিছিলগুলির বেশ কয়েকটিতে আমাদের বিভিন্ন গণসংগঠন উৎসাহের সাথে সামিল হয়। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল, উত্তরপাড়া বিধানসভার হিন্দমোটর রেল স্টেশন থেকে ভদ্রকালি পর্যন্ত বিপিএমও-র মিছিল। এই মিছিলে এআইসিসিটিইউ ও আইসা কর্মীদের সঙ্গে পার্টির জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদারও অংশ নেন। এই বিধানসভার অন্তর্গত কোন্নগরে আর একটি মিছিলেও শ্রমিক ও ছাত্র কমরেডরা ভাল সংখ্যায় অংশ নেন। কোন্নগর ক্রাইপার রোড বরাবর এই মিছিলে নির্মাণ শ্রমিকদের অংশ গ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। এই মিছিলে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা প্রদীপ সরকার অংশ নেন। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পান্ডুয়া বিধানসভার অন্তর্গত বৈঁচির মিছিলে আয়ারলা ও এআইকেএম-এর কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি বৈঁচি সিনেমাতলা থেকে শুরু হয়ে মোমরেজপুর-চারাবাগান-পীরতলা হয়ে নুনিয়াডাঙ্গায় শেষ হয়।   

হুগলী জেলায় ‘অধিকার যাত্রা’র মূল কর্মসূচীটি শুরু হয় জেলার পশ্চিমপ্রান্তিক জনপদ বৈঁচি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল বেলায়। জি টি রোডের ধারে সিপিআই(এম এল) পার্টি অফিসের সামনে হুগলী জেলা থেকে অগ্রণী বাম কর্মীবাহিনী সম্মিলিত হন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মাধ্যমে অধিকার যাত্রার সূচনা করেন বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। এর পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ শত শত বামপন্থী জনতার মিছিল এগিয়ে চলে জিটিরোড বরাবর পান্ডুয়া অভিমুখে। মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আদিবাসী নারী-পুরুষ শিল্পীদের সুসজ্জিত নৃত্য পরিবেশনা। হুগলী জেলায় বিপিএমও-র এই মূল কর্মসূচীতে সারা ভারত কিষাণ  মহাসভা ও সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জেলা নেতৃত্ব সহ সাধারণ কর্মীবাহিনী ভাল সংখ্যায় সামিল হন। সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদের বিরোধিতায় ও সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পদযাত্রা জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি করে।পদযাত্রায় হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি নেত্রী মিতালি কুমার, এআইটিইউসি নেতা প্রাণেশ বিশ্বাস, এআইসিসিটিইউ নেতা প্রবীর হালদার ছাড়াও আয়ারলা নেতা নিরঞ্জন বাগ এবং এআইকেএম নেতা মুকুল কুমার অংশগ্রহণ করেন।

খণ্ড-25
সংখ্যা-29