একাদশ হাওড়া জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো মধ্যহাওড়া-র ঘোষপাড়ার হরিভবনে ৯ সেপ্টেম্বর। সম্মলনের মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছিল জেলা কমিটির প্রয়াত সদস্য কমরেড প্রভাত কুমারের নামে এবং নগরের নামকরণ করা হয় পার্টির সদ্যপ্রয়াত কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য কমরেড ডি পি বক্সীর নামে। রক্তপতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন মধ্য হাওড়ার বর্ষীয়ান পার্টি নেতা প্রতাপ মাঝি (মুনেদা)। এরপর শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন রাজ্য পর্যবেক্ষক অনিমেষ চক্রবর্তী, হাওড়া জেলা পার্টির ইনচার্জ প্রবীর হালদার, বিদায়ী জেলা সম্পাদিকা মীনা পাল, জেলা নেতা দেবব্রত ভক্ত সহ জেলা পার্টি এবং গণ সংগঠনের নেতৃত্ব। শহীদ স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শুরু হয় সম্মেলনের মূল পর্বের কাজ। প্রতাপ মাঝি, মাধব মুখার্জী, দিলীপ দে এবং কল্যাণী গোস্বামীকে নিয়ে সম্মেলন পরিচালনার জন্য সভাপতিমন্ডলী গঠিত হয় এবং অঙ্কিত মজুমদার, অমিতাভ ব্যানার্জী ও নবীন সামন্তকে নিয়ে গঠিত হয় স্টিয়ারিং কমিটি। গণসংগীত পরিবেশন করে বালি সংযোগ সাংস্কৃতিক সংস্থা। বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের পর্যবেক্ষক অনিমেষ চক্রবর্তী, জেলা পার্টির ইনচার্জ প্রবীর হালদার। তাঁরা বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ এবং আমাদের প্রতিরোধের এক সামগ্রিক দিশা প্রদান করেন তাঁদের বক্তব্যে। মোট ৫৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন, আলোচনায় অংশ নেন ২৩ জন প্রতিনিধি। প্রতিনিধিরা খোলামেলা আলোচনা করেন এবং নিজেদের মত রাখেন। বিদায়ী জেলা কমিটির সম্পাদিকা মীনা পালের বক্তব্যের পর খসড়া প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। সম্মেলন শেষে ১৫ জনের জেলা কমিটি নির্বাচিত হয় এবং দেবব্রত ভক্ত (কালো) নবনির্বাচিত জেলা সম্পাদক হন। জেলা কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ছাত্র-যুব সমাজের দুই প্রতিনিধি কমরেড অঙ্কিত মজুমদার এবং কমরেড শেখ মহসীন। এছাড়াও কমরেড রতন দত্ত নবনির্বাচিত কমিটি-র সদস্য হন। নবনির্বাচিত সম্পাদকের বক্তব্যের পর সর্বহারার মহান আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।
সম্মেলনের পরে হাওড়া জেলা কমিটির একটি মিছিল ১০ সেপ্টেম্বর মোদি সরকারের ফ্যাসিস্ট নীতির বিরুদ্ধে বামদলগুলির ডাকা সারা ভারত বনধ ও হরতালের সমর্থনে এলাকা পরিক্রমা করে।