গত ২৯-৩০ শে সেপ্টেম্বর ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশবর শহরের নাগভুষন ভবনে সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জাতীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পার্টির পলিট বুরোর সদস্য সংগঠনের সহ সভাপতি স্বদেশ ভট্টাচার্য ও সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি রামেশ্বর প্রসাদ, সাধারণ সম্পাদক ধীরেন ঝা সহ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আসাম, কার্বি আংলং, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, অন্দ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যের ৫৫জন সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৯-২০ নভেম্বর বিহারের জাহানাবাদ জেলায় আয়ারলার ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের শুরুতে জাহানাবাদ শহরে মিছিল সংগঠিত করা হবে। বিগত ৫ম জাতীয় সম্মেলন ভুবনেশবর শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিজেপি তথা মোদী সরকারের সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী রাজনীতির মোকাবিলা করে সংগঠনের বিস্তার ও আন্দোলন শক্তিশালী করার প্রশ্নে। আর বর্তমান জাতীয় সম্মেলন হবে কর্পোরেট ফ্যাসিবাদী হামলা মোকাবিলা করে মোদী হঠাও কেন্দ্রীয় শ্লোগানের ভিত্তিতে। বিগত জাতীয় সম্মেলনে দেশের গ্রামীণ পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে সমস্ত গ্রামীণ মজুরদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা ভারত কৃষি মজুর সমিতির নাম পরিবর্তন করে সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি নামটা ঠিক করা হয়। বর্তমান জাতীয় সম্মেলন সমস্ত গ্রামীণ মজুরদের আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিতে চায়। এবং গ্রামীণ মজুরদের আন্দোলন ও সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন এমন কমরেডদেরও আয়ারলার নেতৃত্বকারী কাঠামোতে যুক্ত করতে চায়। এখন পর্যন্ত আয়ারলার ১২লক্ষ সদস্য হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে ১৮ লক্ষ সদস্য করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হয়। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর এক সপ্তাহ ধরে দেশ জুড়ে বিশেষ সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাতে হবে যাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের সমস্ত নেতৃস্থানীয় কমরেডদের যুক্ত থাকতে হবে এবং রাজ্য-জেলা ও ব্লক সম্মেলন সংগঠিত করতে হবে। দ্রুত রাজ্য কমিটির বৈঠক করে জাতীয় সম্মেলন সফল করার জন্য রাজ্য ও জেলা সম্পাদকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান হয়। লিফলেট, প্যামফ্লেট, দেওয়াল লিখন, পোষ্টার, ব্যানার, মিছিল ও সভার মাধ্যমে প্রচার সংগঠিত করতে হবে।